লালমনিরহাট প্রতিনিধি।
উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শুকিয়ে যাওয়া তিস্তায় প্রায় ৭ মাস পার পানিতে ভরপুর হয়ে উঠেছে।
গতবছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের জুনে দ্বিতীয় সপ্তাহে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেল।
শনিবার (১৭ জুন) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৮৪ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার দশমিক ৭৬ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার)।
পানি বৃদ্ধি ফলে তিস্তা পারের মানুষের প্রাণ চাঞ্চল্যতা ফিরে পেয়েছে।
এর আগে সকাল ৯টায় এই পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার। বেলা বাড়ার সাথে সাথে পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, উজানে কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বেড়েছে। এতে ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বন্যা মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সর্বদা প্রস্তুত আছে।
তিস্তা ব্যারাজের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত পরিমাপক নূরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। বিকেলে থেকে পানি প্রবাহ কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
এদিকে হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারী ও লালমনিরহাটের নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া বাদাম,কুমড়া,ডাল খেত পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানির শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা।
দোয়ানী গ্রামের বাসিন্দা আয়নাল হক বলেন,
হঠাৎ রাত থেকে তিস্তা পানি বেড়েছে। এতে জেগে উঠা চরে গুলো ডুবে গেছে। এতে পানি নেমে যাওয়ার সাথে কিছু বাদ্ম খেতের সমস্যা হবে।
তিস্তা পারের জেলে কদম আলী বলেন, রাত থেকে বিকেলে পর্যন্ত নদীতে পানি ভরপুর। বেশী পানির কারনে কোন মাছ ও ধরতে পারিনি।
হাতীবান্ধার গড্ডিমারী ইউপির পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, প্রতিবছর গড্ডিমারী ইউনিয়নের ৫ওয়ার্ডের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ে। এবছরে রাত থেকে তিস্তা পানি বাড়ার কারনে কিছু কিছু সামান্য পানি প্রবেশের খবর পেয়েছি। ওসব এলাকাগুলোতে সবসময় খোঁজ-খবর রাখছি।