আসাদুজ্জামান আসাদ,রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি।।
রাজারহাটে তিস্তা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঁঙ্গা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম।
অন্যদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নতুন করে ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরখিতারখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘড়িয়াল ডাঙ্গার গতিয়াশাম কমিউনিটি ক্লিনিক সহ বেশ কিছু স্থাপনা, শতশত বসত ভিটা ও ফসলি জমি ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে।
এলাকাবাসী ও কুড়িগ্রাম পাউবো সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিনের ভারি বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীতে ব্য্যাপক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১২ঘন্টার মধ্যে পানি সমতলে ৩৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিপদ সীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঁঙ্গা ইউনিয়নের মাঝের চর, চরখিতাবখাঁ,চর গতিয়াশাম গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া চরখিতাবখাঁ, চরগতিয়াশাম, বুড়িরহাট ও সরিষাবাড়ি গ্রামে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গতিয়াশাম গ্রামের বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম বলেন, তিন বছর পূর্বে গতিয়াশাম কমিউনিটি ক্লিনিকটি নদী গর্ভে যাওয়ার উপক্রম হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় লোকদের প্রচেষ্টায় সেটি রক্ষা পায়।
এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে হয়তো এটি আর রক্ষা করা সম্ভব হবে না। বুড়িরহাট গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন মন্ডল বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ছাড়া এই এলাকার মানুষের মধ্যে শান্তি আসবে না। বছরে ৫ থেকে ৬ বার করে নদী ভাঙলে কিভাবে শান্তিতে বেঁচে থাকা সম্ভব। তিনি খিতাবখাঁ ও চর খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ টি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ঘড়িয়াল ডাঁঙা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রামানিক বলেন, তিস্তার চরাঞ্চল গুলোতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, নতুন করে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে অনেক জায়গায়। ইউএনওর সাথে পরামর্শ করে জরুরি ভিত্তিতে পানিবন্দী সব পরিবারে শুকনো খাবার বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম বলেন, বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি, কিছু পরিবারকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পানিবন্দী সব পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরনের প্রস্তুতি চলছে।