সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা খাদ্য পরিদর্শক (ওসি এলএসডি) ফেরদৌস আলম গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ২৫টি ট্রলিযোগে গুদাম থেকে চাল সরিয়ে ফেলেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক গুদামে অভিযান চালান কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম। এ সময় চালের হিসাবে গরমিল ও গুদাম কর্মকর্তা লাপাত্তা থাকায় গুদাম সিলগালা করা হয়।
আত্মসাৎ হওয়া চাল উদ্ধারে জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তখনই অভিযান চালান কালীগঞ্জ ইউএনও জহির ইমাম। এ সময় উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের সুকানদিঘী এলাকার চালকল মালিক একরামুল হকের গুদাম থেকে ৩০ টন ওজনের ৬০০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। ওই গুদাম মালিককেও পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনা তদন্তে শুক্রবার সকালে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে (ভার) সদস্যসচিব করে গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ ইউএনও জহির ইমাম বলেন, ‘ট্রলিতে করে রাতের আঁধারে গুদাম থেকে চাল সরানো হচ্ছে, এমন গোপন খবরে রাতেই গুদাম পরিদর্শনে যাই। সেখানে গুদাম কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে ৬০০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, ‘গুদামের ২৫০ টন চাল আত্মসাৎ করে নিখোঁজ রয়েছেন গুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম। আমরা অভিযান চালিয়ে ৬০০ বস্তা অর্থাৎ ৩০ টন চাল উদ্ধার করেছি। বাকিটা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমি নিজেও গুদাম পরিদর্শন করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’