গত বছর রংপুরের বদরগঞ্জে নিলুফা ইয়াসমিন (২৯) নামে এক গৃহবধূ নিহত হন। সে সময় দাবি করা হয়, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে এ ঘটনায় তদন্ত করে পুলিশ। এতে জানা যায়, নিলুফা আত্মহত্যা নয়, তাকে খুন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সহিদার রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। যাতে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বদরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মনোয়ার জাহান। তিনি বলেন, শনিবার রাতে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন সহিদার রহমান।
গ্রেফতার সহিদার উপজেলার ছোট হাজীপুর তেলিপাড়া গ্রামের আব্দুল হাই মেম্বারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে নিলুফা ইয়াসমিনের সঙ্গে বিয়ে হয় সহিদার। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিলুফা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শুনে পরিবারের লোকজন বদরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান। একপর্যায়ে স্বামীর বাড়ির লোকজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিলুফার মরদেহ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে ৯৯৯-এ কল করে পুলিশ ডেকে মরদেহ থানায় নেওয়া হয়।
নিহতের চাচাতো ভাই সাদিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দিতে চাইলেও তা নিতে রাজি হননি বদরগঞ্জ থানার তৎকালীন ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা। তিনি একটি ইউডি মামলা করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মনোয়ার জাহান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে স্বামী সহিদার রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।