বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ন

তারাগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সংঘাত বিভিন্ন স্থানে হামলার অভিযোগ 

তারাগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সংঘাত বিভিন্ন স্থানে হামলার অভিযোগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রংপুরের তারাগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সংঘাতে অশান্ত হয়ে পড়ে তারাগঞ্জ উপজেলা। সকাল আনুমানিক ১১টা থেকে শুরু হয় উপজেলার চৌপথী বাসস্ট্যান্ডে দুই পক্ষের সংঘাত। ঘটনা দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ।

 

 

এতে আহত হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান সহ বেশ কয়েকজন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও দুই স্থানে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়েছে ৩ সংখ্যালঘুকে।

 

জানা যায়, ৫জুন বুধবার তারাগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে আনিছুর রহমান লিটন ৪১ হাজার ৭৩৫ ভোট পেয়ে টানা তৃতীয় বার নির্বাচিত হন। একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ২৫ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন মটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম মার্শাল। তাদের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ছিল ১৬ হাজার ৫৪৯ ভোট। নির্বাচনের পরেরদিন সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তারাগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড। তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম মার্শাল গ্রুপের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে টানা তৃতীয়বারের বিজয়ী আনিছুর রহমান লিটনের সমর্থক ও কুর্শা ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুল হক সরকার গ্রুপের নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও কুর্শা ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুল হক সরকারসহ আরো কয়েকজন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

এদিকে ওইদিন রাতেই আনুমানিক ৯টা দিকে তারাগঞ্জ বাজারের থানা মোড়ে নিজ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় দোকানের সামনেই সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি রতন চন্দ্র রায় ও তার ছেলে তুষার কুমার রায়। দোয়াত কলমের হয়ে গোপনে নির্বাচনে কার্যক্রম চালিয়েছে সন্দেহে মার্শাল গ্রুপের কয়েকজন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করেছে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে একই রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের জয় বাংলা হাটে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বিষ্ণুপদ সরকার (৫৫) একজনের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করেছে মোটর সাইকেল প্রতীকের দুই কর্মী। মোটর সাইকেল প্রতীকে ভোট দেয়নি সন্দেহে এ মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

 

এ ঘটনায় রাতেই বিষ্ণুপদ সরকার তারাগঞ্জ থানায় ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের মৃত বক্কর শাহর পুত্র দৌলত শাহ (৫০) ও জয় বাংলা বাজার এলাকার মৃত আবেদ আলীর পুত্র সিরাজুল ইসলাম (৩৮) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলে অভিযোগটি জিডি করে নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তারাগঞ্জ থানার ওসি ছিদ্দিকুল ইসলাম। সেই সাথে সকালের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

 

মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব এসআই আমিনুর রহমানের উপর দেওয়া হয়েছে বলে জানালে আমিনুরের কাছে মামলার কপি চাওয়া হয়।

 

এতে এসআই আমিনুর ক্ষিপ্ত হয়ে এ প্রতিনিধিকে বলেন, আপনাকে কেন মামলার কপি সরবরাহ করতে হবে? কি করবেন আপনি? আমি কোন কপি আপনাকে দিতে পারবো না।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024 Rangpurtimes24.Com
Developed BY Rafi IT