জামান মৃধা, ডিমলা (নীলফামারী)
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে তৃতীয় শ্রেণির (৮) এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে পার্শ্ববর্তী বাড়ির মমিনুর রহমানের (৩০) বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার টেপাখরিবাড়ি ইউনিয়নে এ পৈচাশিক ঘটনা ঘটে। যৌন নিপীড়নের শিকার ওই শিশু বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, ঘটনার দিন শুক্রবার দুপুরের দিকে ৮ নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান পাড়া গ্রামের (বর্তমান মাস্টার পাড়া) আতাউর রহমানের ছেলে এক সন্তানের জনক মমিনুর রহমান (৩০) ওই শিশুকে চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে শয়ন কক্ষে ডেকে নেয়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে শয়ন কক্ষে জোরপূর্বক যৌন নিপীড়ন করে পালিয়ে যায় ধর্ষক। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটি বাড়িতে ফিরে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে মাকে।
ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই মেয়েটি ধর্ষক মমিনুর রহমানের চাচাতো ভাইয়ের (৬) সঙ্গে তার বাড়িতে খেলাধুলা করছিল। ওই সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় ওই যুবক তাকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে তার রুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়ের অসুস্থতায় লোকজনের সহায়তায় ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় লোকজন জানান, মোটা অংকের অর্থের বিনিময় রফাদফার জন্য রাতে দুই পক্ষের লোকজন বসেছিলো। তাদের আলোচনা চলমান রয়েছে। ধর্ষণের উপযুক্ত বিচার এবং ধর্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সাহিন জানান, এ বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু এখনও জানায়নি। তবে বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবাশীষ কুমার রায় জানান, লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছি। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দাখিল করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।