নিজস্ব প্রতিবেদক :
রংপুরের তারাগঞ্জে প্রেমের সম্পর্ক প্রকাশ পাওয়ার পর প্রেমিকের পরিবারের লোকজনের অপমানজনক কথাবার্তা সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরী।
উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের সরদারপাড়া রবিবার সকাল আনুমানিক ৬টার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের সরদার গ্রামের শাহিনুর রহমানের মেয়ে ও হাতিবান্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী তামান্না আক্তারের (১৫) এর সাথে চাচাতো ভাই একই গ্রামের আব্দুর রশিদ লুতুর পুত্র লিটন মিয়ার (২২) সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল প্রায় ৩ বছর ধরে।
সম্প্রতি দুই পরিবারের লোকজন তাদের প্রেমের বিষয়টি জানতে পারে। প্রেমিক লিটনের পরিবারের লোকজন প্রেমিকা তামান্নাকে দেখলেই অপমানজনক কথা বলতো।
রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে এলে আবারও তাকে দেখে অপমানজনক কথা বললে তামান্না অপমান সহ্য করতে না পেরে রবিবার সকালে নিজের শয়ন ঘরে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বলে অভিযোগ করেন মৃতের পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে তারাগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে সুরৎহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, লাশের সুরৎহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ও ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।