নিজস্ব প্রতিবেদক :
রংপুরের তারাগঞ্জে কৃষি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণগ্রহনের পর সেই জমি মোটা অংকের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে জমির মালিকের কাছ থেকে ক্রয় করে রেজিস্টার করে জমি দখল করে নেন এক প্রতিবেশী। কিছুদিন পর সেই জমি মালিককে ফেরত দেওয়ার কথা বলে ৫ লক্ষ টাকা নগদ গ্রহণ করে জমির দখল ছেড়ে দেন।
টাকা নেওয়ার পর জমি রেজিস্টারের কথা বললে আজ কাল করে টালবাহানা করতে থাকেন সেই প্রতিবেশী। এরই এক পর্যায়ে জমিটি রেজিস্ট্রি করে ফেরত দেওয়ার আগেই মারা যান তিনি। এরপর রেজিস্ট্রি ছাড়াই মৌখিক ভাবে আলোচনার মাধ্যমে প্রায় ২৫ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন জমির মালিক। হঠাৎ সেই মৃত প্রতিবেশীর স্ত্রী টাকা ফেরত না দিয়েই জমি দখলের পাঁয়তারা শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের দামোদরপুর উত্তরপাড়া গ্রামে।
অভিযোগকারী জমির মালিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর আগে দামোদরপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আলহাজ্ব কিনা মামুদের পুত্র গোলজার হোসেন পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া প্রায় ৯০ শতাংশ জমি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণ গ্রহণের পর ব্যাংকে সুদের পরিমাণ বাড়তে থাকার সুযোগ নিয়ে একই গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক জমির মালিক গোলজারকে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ সহ আরো কিছু টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই জমি ক্রয় ও রেজিস্ট্রি করে নেন। এর কিছুদিন পর সিদ্দিক জমি ফেরত দেওয়ার কথা বলে গোলজারের কাছে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে জমির দখল ছেড়ে দেন।
টাকা দেওয়ার পর মৌখিক আলোচনার মাধ্যমে গোলজার সেই জমি আবারও ভোগদখল শুরু করেন এবং ব্যাংকের সুদ প্রতি বছর পরিশোধ করে আসেন। টাকা নেওয়ার পর জমির দখল ছেড়ে দিলেও জমি রেজিস্ট্রি করে ফেরত দিতে টালবাহানা শুরু করেন সিদ্দিক। এরই এক পর্যায়ে সিদ্দিক মারা যান। সিদ্দিক মারা যাওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ২৫ বছর অবধি জমি ভোগদখল করে আসছেন গোলজার। মৃত স্বামীর জমি বাবদ নেওয়া সেই ৫ লক্ষ টাকা ফেরত না দিয়েই জমি দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন সিদ্দিকের স্ত্রী রশিদা সিদ্দিক বলে অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত রশিদা সিদ্দিক বলেন, গোলজার আমার স্বামীর কেনা জমিটি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছে। আমি এখন জমিটি ফেরত চাওয়ায় সে টালবাহানা শুরু করেছে।
সে আমার স্বামীর কাছে নাকি ৩০ হাজার টাকা পায় কিন্তু তার কোন প্রমাণ নেই। তাই আমি রংপুরে মানবাধিকার সংস্থাকে জানিয়েছি। মানবাধিকার সংস্থার লোকজন এসেও আমাকে জমি উদ্ধার করে দিতে পারেনি।