কারমাইকেল কলেজ প্রতিনিধি।
বন্ধু মানে অক্সিজেন, যেন দীর্ঘ ভ্যান্টিলেশনের পর বেঁচে থাকার শ্বাস। বন্ধু মানে পাকা চুলও কাচা মনে করা। এ ধরণের হাজারো অনুভূতির সাথে উচ্ছাস, উল্লাস ও হাসি ঠাট্রার মিলন মেলা বসেছিল ঈদের দ্বিতীয় দিন কারমাইকেল কলেজে।
উপলক্ষ কলেজটির অনার্স ২০০১-২০০২ শিক্ষাবর্ষের পুনর্মিলনী| বন্ধুত্বের এই বিমুগ্ধ উচ্চারণ আর বাঁধভাঙ্গা হাসি রোকনুজ্জামান এবং লাকি হামিদের। কারমাইকেল কলেজের অনার্স ২০০১-০২ শিক্ষাবর্ষের হিসাব বিজ্ঞান ও দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তারা। এখন রোকন একটি বেসরকারি বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান আর লাকি গৃহবধু। ঈদের দ্বিতীয় দিন ক্যাম্পাসে পুনমিলনীতে এসে তাদের দেখা মেলে।
শুধূ রোকন-লাকি নয়, পুনর্মিলনীতে আসা সবার কণ্ঠে উচ্চারিত হয় পনের বছর পর একত্রিত হওয়ার নানান রকমফের অনুভূতি।হাসি-তামাশা, একটুখানি ছবি তোলা। সেই সময়ের না বলা চোখের ভাষার মোহিনী চাহুনিও বিনিময় হয় কারো কারো। শুধু একবার নয়, চলমান থাকে যেন এই আয়োজন। মানবিক এবং সামাজিক কাজেও সংযুক্ত হওয়ার উচ্চারণ পুনর্মিলনীতে আসা সকলের।
আমন্ত্রিত অতিথিরাও মুগ্ধ। এই আয়োজন কারমাইকেল কলেজে যশ-খ্যাতির বাড়ানোর আয়োজন, বললেন তারা। বছর খানেক খাটাখাটির পর ওই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের একসাথে করতে পেরে খুশি আয়োজকরা। আর কলেজ কর্তৃপক্ষ বললেন প্রাক্তনদের কলেজ উন্নয়নে এগিয়ে আসবে হবে।
আয়োজক তারিকুল ইসলাম জানান, কারমাইকেল কলেজের ২০০১-০২ শিক্ষাবর্ষের চৌদ্দটি বিভাগের ৭শত শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের লোকজন মিলিত হয়েছিলেন পুনর্মিলনীতে।