জেলা প্রতিনিধি, লালমনিরহাট।
লালমনিরহাটে বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখির দুই দফা ঝড়ে প্রায় এক হাজারও বেশী বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে উড়ে গেছে টিনের ঘর ওচালা। ভেঙ্গে পড়েছে শতবর্ষী গাছপালা। গাছপালা ভেঙ্গে পড়ায় চলাচল ব্যাহত হয় । বিদ্যুৎ এর খুটিসহ তার ছিড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎহীন রয়েছে এলাকাগুলো। গরু-ছাগল, হাস মুরগিসহ পোষা প্রাণীর ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার(১৫ জুন) ভোর রাতে দুই দফায় বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ে জেলার আদিতমারী,কালীগঞ্জ ও হাতীবান্ধা উপজেলায় উড়ে গেছে ঘরবাড়ি,টিনের চালা ভেঙে পড়েছে গাছপালা।
বুড়িমারী- লালমনিরহাট মহাসড়কে বড় গাছ ভেঙ্গে পড়ায় ব্যাহত ছিলো সড়ক যোগাযোগ। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পড়ায় বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে এনব এলাকা।
বেশ কিছু পরিবারের বসতঘর উড়ে যাওয়ায় অন্যের বাড়িতে ছেলেমেয়েসহ আশ্রয় নিতে হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ এর সংযোগ। ফলে আদিতমারী ও হাতীবান্ধা উপজেলায় এলাকা ১২ ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎহীন রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ খুটিসহ তার ঠিক করে সংযোগ দিতে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন।
উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের সদর বাজার এলাকার ফারুক হোসেন বাবু বলেন, একটি শিমুল গাছ পড়ে আমার ঘরের দেয়াল ভেঙ্গে পড়েছে। অল্পের জন্য আমাদের পরিবারের লোকজন রক্ষা পেয়েছি।
গড্ডিমারী উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, গড্ডিমারী পাঁচটি ওয়ার্ডে প্রায় ৪০ টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। পরিবারগুলো অনেক কষ্টে বসবাস করছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে নির্বাহি অফিসারকে দেওয়া হয়েছে।
আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করার জন্য জনপ্রতিনিধির ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সহায়তা করা হবে।