শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন

ফেল করা ছাত্রকে পাশ দেখানো সেই কর্মকর্তাকে বদলি

ফেল করা ছাত্রকে পাশ দেখানো সেই কর্মকর্তাকে বদলি

বেরোবি প্রতিনিধি:

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) তথ্য গোপন করে পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্রকে পাশ দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ করায় সেই কর্মকর্তা শামসুল হককে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের দায়িত্ব অবহেলা করার প্রমাণ পাওয়ায় সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ডিজিটাল ফরেনসিক সেলে বদলি করা হয়েছে।

 

সেই সাথে তাকে ভবিষ্যতে দায়িত্ব পালনে আরো মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ এবং এমন কর্মকান্ডের জন্য সতর্ক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ বদলির তথ্য পাওয়া যায়।

অফিস আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ শামীম ইসলাম (আইডি ১৭০২০২৬, রেজি: নং ০০০০০৯৭৮৩)-এর ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টার প্রাকটিক্যাল (কোর্স কোড ENG 1206 ) পরীক্ষা ও ফলাফল সংক্রান্ত জটিলতা নিরুপনের নিমিত্তে গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটির পর্যবেক্ষণে শামসুল হকের অসতর্কতা ও অসাবধানতার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে। পরবর্তীতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ‘যাচাইকারী হিসেবে ও উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে আপনার সীমাবদ্ধতা ও ত্রুটির বিষয়টি প্রতিয়মান হওয়ায় কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গত ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১৩তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপনাকে সতর্ক করা হলো এবং ভবিষ্যতে দায়িত্ব পালনে আরো মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, তথ্য গোপন করে পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্রকে পাশ দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। পরে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে শামসুল হকের জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর আমলে অন্যায়টি ঘটেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-’১৮ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টার পরীক্ষায় (কোর্স কোড: ENG-1206) প্রাকটিক্যাল কোর্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি বিভাগটির একজন শিক্ষার্থী। কিন্তু ফলাফলে তাকে ‘প্রোমোটেড’ দেখানো হয়েছে।

 

স্নাতক প্রোগামে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, ব্যবহারিক বিষয়ে দুইবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে গোপন আলোচনায় আসে ও বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। বর্তমানে ১ম বর্ষের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও চূড়ান্ত ফলাফলে তাকে উত্তীর্ণ করে দেয়ার ফলে ওই শিক্ষার্থীর স্নাতক সনদ প্রাপ্তিতেও জটিলতা তৈরী হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024 Rangpurtimes24.Com
Developed BY Rafi IT