লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
উজানে ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারনে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তার নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওইসব অঞ্চল। পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো ঝুঁকিতে পড়েছে।এতে লালমনিরহাট জেলার পাঁচ হাজার মানুষ পানিপন্দি হয়েছিল। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৯সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমা ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
নদী তীরবর্তি এলাকার বেশ কিছু রাস্তাঘাট ব্রীজ কালভার্ট ভেঙে গেছে পানির তোরে। উৎতি আমন ধান ও বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ডুবে আছে বন্যার পানিতে। দীর্ঘ সময় ডুবে থাকলে এসব ফসলের মারাত্বক ক্ষতির শ্বঙ্কা করছেন চাষিরা। একই সাথে বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে বেশ কিছু পুকুরে মাছ। মারাত্বক ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পড়েছে সলেডি স্প্যার বাঁধসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো। শনিবার রাতভর সলেডি স্প্যার বাঁধ ২ এর উপর দিয়ে অভার ফ্লো প্রবাহিত হয়। বাঁধ ভেসে যাওয়ায় শ্বঙ্কায় আতংকিত হয়ে পড়ে ভাটিতে থাকা শত শত পরিবার। স্থানয়রা রাতে বালু ভর্তি বস্তা ফেলে রক্ষা করে।
তিস্তা চরের নিম্ন অঞ্চলে প্লাবিত হয়ে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। দুই দিন ধরে চরম বিপদে আছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ। গতরাতে তিস্তা পাড়ের মানুষ নিঘুম রাত কাটিয়েছেন। লালমনিহাটের আদিতমারি উপজেলার খুনিয়াগাছ এলাকায় তিস্তার পানি মানুষের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জিয়া বলেন,অত্র ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ডে মানুষ পানি বন্দী রয়েছে। পানিবন্দী মানুষের তালিকা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের কাছে জমা দিয়েছি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার বলেন, রোববার সকাল ৬ টায় তিস্তা নদী ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বেড়ে বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তাপাড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন,পানিবন্দি পরিবার গুলোর মাঝে দ্রুত ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি পানিবন্দী এলাকাগুলো পরিদর্শনে জন্য রওনা করছি।