দদমাফি মহিউদ্দিন কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত সবাই একই পরিবারের। সবচেয়ে মজার বিষয় হল প্রতিষ্টানটিতে একমাত্র ইসলাম ধর্মের একজন শিক্ষক মুসলিম । তিনি ছাড়া বাকি সবাই সনাতন ধর্মের ।
অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনআমলে ওই প্রতিষ্টানের প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অনিয়ম ও দুনর্ীতির মাধ্যমে এমন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন। বলছি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি ইউনিয়নের কবিরাজের বাজারে অবস্থিত কিসামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়ের কথা।
মঙ্গলবার সকাল সারে ১১ টার দিকে সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কিসামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রায় এক এক জমির উপরে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্টা করা হয়। বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত করা হয় ২০০২ সালে।
বিদ্যালয়টির প্রতিষ্টাটা সভাপতি হিসাবে জমিদাতা কুলোদা মোহন রায়কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিবার্চন করা হয়। তৎকালিন সভাপতি কুলোদা মোহল রায় প্রতিষ্টানের প্রধান হিসাবে অন্তত কুমারকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেন।
প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার নিয়োগ পাওয়ায় পর প্রতিষ্টানে নিজের আধিপত্য বিস্তারের জন্য কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না নিজের ভাই, স্ত্রী,ভাইয়ের স্ত্রীসহ পরিবারের সকলকে নিয়োগ পাইয়ে দেন। পরবতর্ীতে প্রতিষ্টাতা সভাপতি কুলোদা মোহন রায়ের মৃত্যুর পর প্রধান শিক্ষক নিজের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য প্রতিষ্টাতা সভাপতির ছেলে বিপুল চন্দ্র রায়কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে নিয়ে আসেন। বিপুল চন্দ্র কমিটির সভাপতি হওয়ার পর সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক দুজনে মিলে দুই পরিবারের লোকজনদের নিয়োগ প্রদান করেন। বর্তমানে ওই প্রতিষ্টানে শিক্ষক থেকে শুরু করে আয়া পর্যন্ত মোট ১৮ জন কর্মরত রয়েছেন।
তাঁর মধ্যে শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মের একজন শিক্ষক ছাড়া বাকিরা সকলেই সনাতন ধর্মের। এর মধ্যে ১২ জন প্রধান শিক্ষকের পরিবারের। গত ২ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমারের দর্ীর্ঘ ১৬ বছরে কিসামত বদি উচ্চ বিদ্যাললয় টিকে পরিবার তান্ত্রিক স্কুলে রুপান্তরিত করার একটি তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। তা মূহুত্বে ভাইরাল হয়ে পরে। এ বিষয়টি নিয়ে সমাজের সকল স্তুরের মানুষের মাঝে অসন্তোশ এর দানা বেঁধেছে। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া তালিকা দেখে ও বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক ববিতা রানী রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার স্বামী এই বিদ্যালয়ের প্রধান, আমার ভাসুর, অন্নদা মোহন রায়, দেবর, রঘুনাত চন্দ্র রায়,তুলারাম রায়, তারা আপন ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ভাগিনা, ভাগিনার বউ নিয়োগ পেয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি যা করেছি নিয়ম মেনে করেছি। আপনার নিয়মের মধ্যে বাইরের কোন প্রাথর্ী নিয়োগের জন্য উপযুক্ত ছিল কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমাকে উপজেলা নিবার্হী অফিসার তাঁর কাযার্লয়ে আমাকে ডাকছেন বলে তিনি দ্রুত চলে যান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতার্ আশরাফ- উজ- জামান সরকারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি এখানে নতুন এ বিষয়ে কিছু জানিনা।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মৌসুমী হক বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া শিক্ষকের নামের তালিকা দেখে প্রধান শিক্ষকে ডেঁেকছিলাম। এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক আইননানুগ ব্যাবস্থ্ গ্রহন করা হবে।