জেলা প্রতিনিধি,লালমনিরহাট।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত মিরাজের পরিবারের খবর নিতে গিয়ে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন,দেশের মানুষের কাছে স্বৈরাচার সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাকি মা হিসাবে সবাই চিনতেন। তাহলে তিনি কেমন মা? এত গুলো সন্তানকে রেখে দেশের বাহিরে পালিয়ে গেছেন। আসলে তিনি পালাটি মা, সত্যিকারের দেশ প্রেম থাকলে কখনো সন্তানদের রেখে পালিয়ে যেতেন না।
শুক্রবার (১৬ আগষ্ট ) বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া গ্রামে মেরাজের কবর জিয়ারত শেষে স্বজনদের সাথে দেখা করেন। পরে রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী কলেজ শিক্ষার্থী মেরাজুল ইসলাম মেরাজের পরিবারকে বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু পরিবারটির হাতে অর্থ সহায়তা হিসাবে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন। এছাড়াও পরিবারকে সান্তনা দেন। এসময় মেরাজের বাবা-মা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশ সারা বিশ্বের অনেক দেশেই তিনি আশ্রয় চেয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু ভারত ছাড়া কোন দেশেই তাকে রাখতে রাজি হচ্ছে না। শেখ হাসিনা অচল হয়ে গেছে, যে কারণে তার আর মূল্য নেই। দেশের মানুষের কাছে যে অন্যায় অত্যাচার করেছে সে কারণেই বিশ্বের কোথাও তার স্থান হবে না।
এসময় তিনি বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন করেছিল। কি দোষ তাদের? শুধুমাত্র কোটা সংস্কার ছাড়া অন্য কিছুই দাবী করেনি। কিন্তু স্বৈরাচার সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার হুকুমে দেশের অনেক শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা করেছে। এসবের বিচার এই দেশের মাটিতেই তাদের হবে।
দুলু আরো বলেন, কিছুদিন আগেই ক্ষমতায় থাকা সময় রংপুরের একটি জনসভায় আমরা বলেছিলাম। পদত্যাগ করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। না হলে শ্রীলঙ্কার মত পালিয়েও আপনাদের রক্ষা হবে না। সৃষ্টিকর্তা তেমনি গজব নাযিল করেছে পালাবার সময় নিজের কাপড়ও নিয়ে যেতে পারেনি।
সাংবাদিকদের বলেন, মেরাজের স্মৃতি রক্ষায় বিএনপি উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে ওই গ্রামে আদিতমারী উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে আসাদুল হাবিব দুলুসহ বিএনপি নেতারা ও নিহত মেরাজের বাবা বক্তব্য রাখেন।
ওই সমাবেশে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক,পৌর বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন, যুবদলের সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছ সহ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য : যাত্রাবাড়িতে কোটা বিরোধী আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেয় সে। ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর মিছিলে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয় মিরাজ। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসেন। সাত দিন পর তার মৃত্যু হয়।