রংপুর টাইমস :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সুজন ইসলাম। সেই দিন ৫ আগস্ট ঢাকা আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়।
নিহত শহীদ সুজনের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের ২নং ব্রীজে পশ্চিম সারডুবী গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডে।
শহীদ সুজন তার পরিবারের একমাত্র ছেলে সন্তান হওয়ার একজন সন্তান হিসেবে দ্যা অটোমান গ্রুপের পরিচালক ও বড়খাতা কৃতি সন্তান তরুণ উদ্যোক্তা শিহাব আহমেদ শহীদ সুজন ইসলামের পরিবারের দায়িত্ব নিলেন। শহীদ পরিবারের বাবা মাকে আজীবন প্রতিমাসের তিন হাজার টাকা করে প্রদান করবেন।
এর আগে দ্যা অটোম্যাট গ্রুপের পরিচালক শিহাব আহমেদ অসংখ্য মানবিক কাজগুলো করে। তার এই কাজগুলো অত্র এলাকায় সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে।
দ্যা অটোমান গ্রুপের পক্ষ থেকে নিহত সুজন ইসলামের বাবার হাতে ৩০০০ টাকা তুলে দেন। পাশাপাশি তার পরিবারকে একটি টিউবয়েল স্থাপন করে দেন।
দ্য অটোমান গ্রুপের পরিচালক শিহাব আহমেদ বলেন, শহীদ সুজন ইসলামের পরিবারের সামান্য দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলাম। সুজনের বাবা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বড়খাতার সকল ছাত্র-জনতার সাথে আমি কথা বলেছি। আজীবন সুজনের বাবা ও মায়ের দায়িত্ব আমি নিয়েছি। মহান আল্লাহতায়াল তাদেরকে যতদিন বেঁচে রাখবেন এবং আমি যতদিন বেচে থাকব ঠিক ততদিন তাদেরকে মাসিক একটি সম্মানী প্রদান করব ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন,একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও, ২০১৮ কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও ছাত্রদের পাশে ছিলাম। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের পরিবর্তন শুধুমাত্র ছাত্র জনতার হাত ধরেই সম্ভব।
পাশাপাশি দল মত নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণ অত্যাবশ্যক। একজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ এবং সত্য ও ন্যায়ের পক্ষের মানুষ হিসেবে হাতিবান্ধা ও পাটগ্রাম থানার ছাত্র জনতার যে কোন প্রয়োজনে পাশে আছি থাকব ইনশাআল্লাহ।