লালমনিরহাট প্রতিনিধি।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সীমান্ত এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বী জড়ো হওয়া নিয়ে বিজিবির সংবাদ সম্মেলন।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা গোতামারী (ডিএনএসসি) উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবর) উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হাতীবান্ধা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম, গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল হক মোনা ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানে সভাপতি অশ্বনী কুমার বসুনিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের ১৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, গত শুক্রবার (৯ আগষ্ঠ) সকাল ১১টার দিকে এ উপজেলার উত্তর গোতামারী শশ্বানঘাট গ্রাম সীমান্তে হঠাৎ করে মাঝবয়সী ৫০ হতে ৬০ জন ছেলে জড়ো হন। পরে সংবাদ পেয়ে বিজিবির দইখাওয়া বিজিবি কমান্ডার ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনগনের সহায়তায় তাদেরকে বুঝিয়ে সীমান্ত এলাকা থেকে ফেরত নিয়ে আসার চেস্টা করে। ক্রমান্বয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী অন্যান্য উপজেলা ও জেলা সমূহ হতে ৫শ’ হতে ৬শ’ জন সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন অল্প সময়ে সীমান্ত জড়ো হতে শুরু করে। এদের মধ্যে ২শ’ হতে আড়াইশো জন লোক ওই সীমান্তের শূন্য লাইনের খরপো নদীতে অবস্থান নেন। এসময় বিজিবি জনবল বৃদ্ধি করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে আগত লোকজন যেন শূন্য লাইন অতিক্রম না করে সে বিষয়টি তাদের বুঝানো হয়।
উল্লেখ্য যে, বিগত সরকারের পতনের পর লালমনিরহাট জেলায় বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জান ও মালের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী তাদের বসবাসরত এলাকা সমূহে সার্বক্ষণিক নজর রাখছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাংলাদেশের নাগরিক। তারা আমাদের ভাই ও বোন। তাদের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহ যে কোন সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।