মোঃ ফরহাদ হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় চার বছর আগে দ্বিতীয় স্ত্রী সবুজা বেগমকে নির্যাতন ও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও ফেঁসে গেল ঘাতক স্বামী মোঃ নুর আলম।
চার বছর ধরে দীর্ঘ শুনানি শেষে ঘাতক স্বামী নুর আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়।
রোববার (৯ জুলাই) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
একই মামলায় বাকি চারজন আসামীকে খালাস দিয়েছেন আদালত। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি নুর আলমের প্রথম স্ত্রী রোপিতা বেগম, প্রথম স্ত্রীর ভাই মিন্টু ওরফে মিঠু, মোঃ বেলাল ওরফে বেল্লাল এবং প্রথম পক্ষের শাশুড়ী মোছাঃ বেগম।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী মোঃ নুর আলম লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার চর সিন্দুর্না এলাকার মৃত একাব্বর আলীর ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনাকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট আকমল হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের চর সিন্দুনা গ্রামে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
নিহত গৃহবধূ সবুজা বেগম উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের ৩নং আদর্শগ্রাম এলাকার হাসেন আলীর কন্যা।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, চার বছর ধরে মামলাটির দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে হত্যাকাণ্ড প্রমানিত হওয়ায় আদালত এ রায় প্রদান করেন।
এম.এফ/রংপুর টাইমস