শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন

লালমনিরহাটে প্রধান শিক্ষকের লোকজনের হামলায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ আহত ২০

লালমনিরহাটে প্রধান শিক্ষকের লোকজনের হামলায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ আহত ২০

 

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ঘনেশ্যাম স্কুল এন্ড কলেজের সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মনির হোসেনের লোকজনের হামলায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ ২০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে রাতেই এক শিক্ষার্থীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

বুধবার (২৩ আগস্ট) সকালে এ ঘটনায় দক্ষিণ যনেশ্যাম স্কুল এন্ড কলেজের মোঃ রাসেল ইসলাম নামে এক ছাত্র বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর ) বিকেলে দুপুরে দক্ষিণ ঘনেশ্যাম স্কুল এন্ড কলেজের এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১৮ শিক্ষার্থী ও ২ শিক্ষক আহত হয়েছেন।

 

শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের প্রভাব দেখিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনসহ অবৈধভাবে একাধিক নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারী টেন্ডার ছাড়া বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রজাতীর গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও তার নামে বিভিন্ন অনিয়ম অভিযোগ রয়েছেন। এসব অভিযোগ স্থানীয় লোকজন তুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।  অভিযোগের প্রেক্ষিতে  তদন্ত শুরু করেন। পরে দক্ষিণ ঘনেশ্যাম স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান মনির হোসেনেকে বরখাস্তকৃত  করেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ ঘনেশ্যাম স্কুল এন্ড কলেজের বরখাস্তকৃত প্রধান মনির হোসেনের লোকজন লাঠি, সোটা, লোহার রড, ধারালো দা, ছোড়া হাতে নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। সঙ্গে তার আত্মীয়-স্বজন ছিলেন। বিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সামসুল হককে কোন কথা না বলে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দেয়ার প্রস্তাব দেন। কিস্তু স্বাক্ষর দেয়া অস্কীকার জানালে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক অধর চন্দ্রের শার্টের কলার ধরে ঘুষি মারিতে থাকে। পরে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সংর্ঘষ লেগে যায়। এতে ওই বিদ্যালয়ের ১৮ শিক্ষার্থী আহত হোন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তাদের মধ্যে শরিয়ত হাসানের শারীরিক অবস্থা অবনতি রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করান।

শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বলেন,বহিরাগত লোকজনের উস্কানি পেয়ে ছাত্ররা লাইব্রেরীর বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর চালায়। ছাত্রদের কেউ মারধোর করেনি। ছাত্ররা ভাঙচুর চালাতে গিয়ে নিজে নিজে আহত হয়েছেন।

 

 

এ বিষয় কালীগঞ্জ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নূর-ই-সিদ্দিকী বলেন, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় গিয়েছিলেন বিষয়টি শুনেছি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত চলাকালিন রয়েছে। এই অবস্থায় কেন বিদ্যালয়ে গেলেন এ বিষয় তার কাছে জানতে চাওয়া হবে।

এ বিষয় কালীগঞ্জ থানা এস আই মিজানুর রহমান মিজান বলেন,এ বিষয়ে এক শিক্ষার্থী একটি অভিযোগ দিয়েছে তদন্ত করে তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024 Rangpurtimes24.Com
Developed BY Rafi IT