নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সহযোগী যুব সংগঠন জাতীয় যুব জোটের রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি সম্প্রতি গঠন হয়েছে। কমিটি গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যেই পুরো জেলা জুরে মনোনীত সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। রাষ্ট্রীয় ও সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ২০২১ সালে জাসদ ছাত্রলীগের (হা-ন) রংপুর জেলার অন্তর্গত পীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল রাজীব রিয়নকে সংগঠনের সকল পদ-পদবী থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়, ২০২১ সালের ১৭ আগষ্টে রংপুরের পীরগঞ্জের মাঝিপল্লীতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ২০টি ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ায় সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয় রিয়নকে। বহিষ্কৃত ওই ছাত্রনেতাকে একই সংগঠনের সহযোগী সংগঠন জাতীয় যুবজোটের রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় দলীয় ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুদে রয়েছে সম্প্রতি গঠিত ওই কমিটি।
জানা গেছে, জাসদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (হা-ন) পীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল রাজীব রিয়নকে সংগঠনের আদর্শ, উদ্দেশ্য লক্ষ্যের প্রতি অনাস্থা, সংগঠনের নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং সামাজিক ও নৈতিক শৃঙ্খলা জনিত অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর ছাত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আহসান হাবীব শামীম ও সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল হক ননীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয় আব্দুল্লাহ আল রাজীব রিয়নকে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক জাসদ ও জাতীয় যুব জোটের রংপুর জেলা শাখার নেতারা অবিযোগ করে বলেন, অদৃশ্য ঈশারায় জাতীয় যুব জোটের রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে রিয়নকে।
নেতারা আরো বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর রংপুর টাউন হলে অনুষ্ঠিত জাতীয় যুব জোটের রংপুর জেলা ও মহানগর শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে এক কর্মী সমাবেশ বা কংগ্রেসের আয়োজন করা হয়। এতে জাসদের রংপুর জেলা শাখার সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রাংগা প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগরের আরো অনেক নেতা।
নেতাদের উপস্থিতিতেই রংপুর জেলা কমিটির হরলাল রায়কে সভাপতি ও আব্দুল্লাহ আল রাজীব রিয়নকে সাধারণ সম্পাদক এবং রংপুর মহানগরে সাজ্জাদুল ইসলাম মিঠুলকে সভাপতি ও এআই আপেলকে সাধারণ সম্পাদক করে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এর পর থেকেই আলোচনায় উঠে আসে ছাত্র সংগঠনের বহিষ্কৃত নেতা রিয়নকে যুব সংগঠনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করার বিষয়টি। একজন উপজেলা পর্যায়ের বহিষ্কৃত নেতাকে জেলার যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করার ঘটনাটি বর্তমানে দলীয় ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড়ে পরিণত হয়েছে।