জামান মৃধা, ডিমলা (নীলফামারী)
নীলফামারীর ডিমলায় তৃতীয় বিয়ে করায় পারিবারিক কলহে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেঁটে দিয়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রী। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সে অনেকটাই সুস্থ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত স্বামীর নাম আব্দুল হাকিম (৩০)। তিনি ওই গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে।
এ ঘটনার পর দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা বেগম(২৫) পলাতক রয়েছেন। আসমা নরসিংদী জেলার বাসিন্দা ও গার্মেন্টস কর্মী। ভুক্তভোগী যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আট বছর আগে আব্দুল হাকিমের প্রথম বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে রয়েছে। এরপর চার বছর আগে পারিবারিক কলহের জেরে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করার সময় দ্বিতীয় বিয়ে করে হাকিম। সম্প্রতি তৃতীয় বউ হিসেবে সে এক মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে সোমবার দিবাগত রাতে তার দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা ওই ঘটনা ঘটায়। স্থানীয়রা জানান, তৃতীয় বিয়ের পর থেকে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। রাতে ঘুমানো অবস্থায় হাকিমের পুরুষাঙ্গ কেঁটে ফেলে তার স্ত্রী আসমা। পরে বাড়ির লোকজন বুঝতে পেরে তাকে উদ্ধার করে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তার স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
পরিবারের দাবি, আব্দুল হাকিমকে মাছ ভর্তার সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল। গভীর ঘুমের মধ্যে এই ঘটনা ঘটায় দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা। খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, স্বামী তৃতীয় বিয়ে করায় ক্ষোভ থেকেই দ্বিতীয় স্ত্রী এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে শুনেছি। তাদের পারিবারিক কলহে একাধিকবার বিচার সালিশের ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিমলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহিম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।