লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতায় তিনবার বিজয়ী নাম জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতার নাম না পাঠানোয় অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১২মে) দুপুরে পাটগ্রাম সরকারি হুজুর উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী মা লতিফ আক্তার।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সাংস্কৃতিতে জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতায় তিনবার বিজয়ী হয়ে ২০২২ সালে রাষ্ট্রপতির নিকট হতে জাতীয় শিশু পুরুস্কার ও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর নিকট হতে শিক্ষা পদক পুরস্কার নেয় ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির
শিক্ষার্থী নাফিসা আনজুম প্রথমা। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নির্বাচিত হয়ে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে ভালো কৃতিত্ব অর্জন করে মেধাবী শিক্ষার্থী প্রথমা।
অভিযোগ উঠেছে চলতি ২০২৩ মাধ্যমিক জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে অংশ গ্রহনের এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে পাটগ্রাম সরকারি হুজুর উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বসুনিয়া।
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীর মা ও পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লতিফা আক্তার একটি লিখিত অভিযোগ গত ১২ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,জেলা শিক্ষা অফিস এবং জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন।
শিক্ষার্থীর মা ও পাটগ্রাম উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লতিফা আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়ে লোক, ভাওয়াইয়া সংগীত ছাড়াও কয়েকটি পর্বের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন ও ভালো করার উপযোগী। গত ৩ বছর সে (প্রথমা) পর্যায়ক্রমে জাতীয় পর্যায়ে সাফল্য এনেছে। শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহনের কোনো প্রচারনা না করে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অন্য শিক্ষার্থীদের নাম উপজেলা পর্যায়ে অংশ গ্রহনের তালিকায় পাঠিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে প্রথমা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
শিক্ষার্থীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ওই বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষক শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতা স্কুলে প্রচার-প্রচারণা না করে পরিচিত শিক্ষার্থীদের নাম পাঠিয়েছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তিনি আরো বলেন,এঘটনার পর থেকে আমার মেয়ের শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এর দায়ভার স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
এ ব্যাপারে পাটগ্রাম সরকারি হুজুর উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল জব্বার বসুনিয়া বলেন,‘অনিয়মের বিষয়টি অসত্য। প্রথমা আমাদের বিদ্যালয়ে ২০২৩ সালে ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিযোগিতা হয়ে গেছে। তাই ওই শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে।’