বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন

ডিমলায় তিন দিনব্যাপী ঢিলেঢালা কৃষি মেলার সমাপ্তি

ডিমলায় তিন দিনব্যাপী ঢিলেঢালা কৃষি মেলার সমাপ্তি

জামান মৃধা, ডিমলা (নীলফামারী)

 

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ”কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্প” এর আওতায় আয়োজিত তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলা ঢিলেঢালাভাবে সমাপ্ত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই মেলার আয়োজন করেছিলো উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলায় নামমাত্র কয়েকটি স্টল থাকলেও ছিলো না তেমন কোনো কৃষকের আনাগোনা ও লোকসমাগম। অধিকাংশ সময় অলস বসে সময় কাটিয়েছেন তারা।

 

 

উপজেলা কৃষি অফিস দায়সারা এ মেলা কোন রকম গোজামিল দিয়ে শেষ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রচার-প্রচারণার অভাবে উপজেলার বেশিরভাগ কৃষক জানেই না এ মেলার কথা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা এ সম্পর্কে কিছুই জানতেই পারেনি।

 

মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও নার্সারির প্রতিনিধিরা মনে করেন, কর্তৃপক্ষ যে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিবছর কৃষি মেলার আয়োজন করা হয় তা এবার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এ কৃষি মেলায় এসে তাদের যে খরচ হয়েছে সে খরচের টাকাই উঠবে না বলে মনে করেন তারা। যাদের জন্য এ মেলার আয়োজন সেই কৃষকেরাই মেলায় না আসায় এই ব্যর্থতা। গত তিনদিন সরেজমিনে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, উদ্বোধনের দিন গত ২০ মে সোমবার ও মঙ্গলবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় কিছু শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীর দেখা গেছে। এছাড়া মেলার স্টল গুলোর মধ্যে শিক্ষার্থীদের দেওয়া মুজিব কর্নারে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও অন্যান্য স্টল গুলো ছিলো মূলত ফাঁকা।

 

 

মেলার শেষ দিন (একদিন বর্ধিত) বৃহস্পতিবার বিকালে প্রদর্শনীর পুরষ্কার, ভর্তুকির পাওয়ার টিলার নিতে কয়েকজন কৃষক, ক্লাস বন্ধ রেখে কিছু শিক্ষার্থী ও কয়েকটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদেরও দেখা গেছে। শেষ দিনের সমাপনীতে যোগ দেওয়া কৃষক পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামের বাহার উদ্দিন জানান, মেলার প্রথম দুইদিন না আসলেও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার অনুরোধে এসেছি।

 

 

গত সোমবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে শুরু হয় এ কৃষিমেলা। মেলায় কৃষিপ্রযুক্তি, পশুখাদ্য, বীজ, মৎস্যখাদ্য, কীটনাশক, কৃষকের উৎপাদিত ফসল, জৈব সারসহ উপজেলার কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারি অধিদপ্তর ও কিছু নার্সারির অংশগ্রহনে বিশটি স্টল তৈরি করা হয়।

 

 

যার অধিকাংশই ছিলো দর্শনার্থী শূন্য। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) সেকেন্দার আলী বলেন, কৃষি মেলায় সরকারি বেসরকারি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারি একাধিক প্রতিষ্ঠান ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ভালো ছিল। এ মেলায় আধুনিক জাতের অনেক চারা বিক্রি হয়েছে। এ চারাগুলো উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় রোপণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024 Rangpurtimes24.Com
Developed BY Rafi IT