বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন

চড়া ইলিশ, নিম্ন-মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে অন্য মাছও

চড়া ইলিশ, নিম্ন-মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে অন্য মাছও

রংপুর টাইমস :

চলছে ইলিশের মৌসুম। চারদিকে যেন ইলিশের ছড়াছড়ি। তবে নিম্ন-মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে লোভনীয় এই মাছ। শুধু ইলিশই নয়, হরেক রকম মাছে ভরপুর বাজার। কিন্তু ইলিশের মতোই নাগালের বাইরে অন্যসব মাছের দামও।

এদিকে সবজির দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে আলু-পেঁয়াজের দাম। আর আগের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। খুলনা নগরীর মিস্ত্রিপাড়া, নিরালা, রূপসা, জোড়াকল বাজার, ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের এমন দাম জানা গেছে।

 

নগরীর রূপসা বাজারের মাছ বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, বাজারে এখন প্রতিদিনই ইলিশ মাছ আসছে। এক কেজিতে ছয়-সাতটা হবে এমন মাছের দাম চাওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা, চারটায় এক কেজি সাইজের মাছ ৭০০ টাকা, তিনটায় এক কেজি সাইজের মাছ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, এক কেজি সাইজ হলে ১২০০ টাকা, ওজন আরও একটু বাড়লে তার দাম ১৬০০ টাকা।

জোড়াকল বাজারের মাছ বিক্রেতা নেয়ামত, বাদশা, নান্টু বলেন, এই বাজারে তেলাপিয়া মাছ ১৮০ থেকে ২০০, রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, টেংরা ৫০০ ও ৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা, পার্শে মাছ ৭০০ টাকা, টাকি মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ টাকা, তুলার ডাটি ৫০০, বেলে ৬০০ টাকা, তপসে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাগদা চিংড়ি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, পুঁটি মাছ ৩০০ টাকা। এছাড়া দেশি কৈ, শিং ও মাগুর মাছ ৭০০ টাকা, ভেটকি মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এই ব্যবসায়ীরা বলেন, আড়তে যে মাছ আসছে তা খুলনার বাজারের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু দাম যে কেন কমে না তা বলতে পারে না কেউ।

জোড়াকল বাজারে মাছ কিনতে আসা বেলাল হোসেন বলেন, মাছ খাওয়ার কোনো উপায় নেই। সব মাছে বরফ দেওয়া থাকলেও তা থেকে যেন আগুন ঝরচ্ছে। এখন ইলিশ মাছের দাম কমার কথা কিন্তু কমার পরিবর্তে দাম যেন প্রতিদিনই বেড়ে যাচ্ছে।

খুলনার বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে বাজারে ঝিঙে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কাঁচকলা হালি (৪টি) ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, উচ্ছে ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৩০, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, খিরা ৬০ টাকা, কুশি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মিস্ত্রিপাড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা গোলাম হোসেন বলেন, বাজারে বেশ কিছুদিন ধরেই আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা দরে। তখন যে পরিমাণ সরবরাহ ছিল এখনো তার চেয়ে কমতি নেই। কিন্তু এখন পাইকারি দাম বেড়ে যাওয়ায় ৫০ টাকার নিচে আলু বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।

সোনাডাঙ্গা পাইকারি সবজি বাজারের আড়তদার মালেক পাটোয়ারী বলেন, আলুর কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু মোকাম থেকেই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আলুর দাম। কিছু দিন আগে ৩৮ টাকা দরে আলু বিক্রি হয়েছে এই বাজারে। সেই আলু এখন ৪২/৪৩ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024 Rangpurtimes24.Com
Developed BY Rafi IT