সাফি, পাটগ্রাম লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
কার্তিকের পরেই সমৃদ্ধির অগ্রহায়ণ চলছে। হেমন্তের এখন এক অন্য রূপ। মাঠে মাঠে বাতাসে দোল খায় সোনালী ধানের ছড়া। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন ‘ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে কী দেখেছি
আমি কী দেখেছি মধুর হাসি।’
জেগে উঠেছে নতুন কর্মোদ্দীপনা। কৃষকের শুরু হয়েছে ফসল কাটার ব্যস্ততা। ধানের আটি নিয়ে পথ চলার দৃশ্য। কৃষকের আঙিনায় নতুন খড়ের গাদা। এসময় তাপ মাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। বাতাসে গা শির শির করে শুরু হয়েছে শীত। সারাদিন প্রখর রোদ থাকলেও সন্ধা নামার সাথে সাথেই তাপমাত্রা কমে যায়। সারদিনের তীব্র গরম শেষে গভীর রাত থেকে শুরু হচ্ছে হালকা হিমেল হাওয়া, সঙ্গে নামছে হালকা কুয়াশা। শীতকে ঘিরে সক্রিয় হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলের পিঠাপুলির দোকানগুলো। গ্রামে গ্রামে খেজুর রস ও গুড়ের পিঠা-পায়েস তৈরির ধুম পড়ে গেছে।
দেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে শীতের আগমন ঘটে গেছে। শিশির ভেজা সবুজ ঘাসের ওপর ভোরের সূর্যের আলো হালকা লালচে রঙ্গের ঝিলিক দেখা যাচ্ছে । দূর থেকে দেখলে মনে হয় ঘাসের মাথায় যেন মুক্তোর মতো শিশির কণা জমে আছে। ঘাসের ওপর শিশির কণা রৌদ্রে ঝলমল করে, হাঁটাচলা করলে শীতে পা ভিজে যায়। শীত এই এলাকার মানুষের জন্য কষ্টের সঙ্গে আনন্দেরও।
ঠান্ডা গরমের খেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতকালীন রোগ। শীতকালীন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জহির উদ্দিন বাবার বলেন, এই অঞ্চল শীত প্রধান এলাকা। শীতের প্রভাব শুরু হয়েছে। শীত জনিত রোগের উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিনেই রোগি বাড়ছে হাসপাতালে। এই সময় তিনি বয়স্ক ও শিশুদের বিশেষ যত্নের উপর গুরুত্ব দেন।
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের নাদিরুজ্জামান মানিক বলেন, লালমনিরহাট শীতপ্রধান এলাকা। এবারও আগাম শীতের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শীতে শাকসবজির বেশি আবাদ হয় আমাদের এলাকায়। বাজারে নতুন নতুন শীতকালীন শাকসবজি আসতে শুরু করেছে।