রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি।।
সোমবার দুপুরে রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান এনামুল হকের অপসারণ ও দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা । ছাত্র-জনতার ব্যানারে সর্বস্তরের জনগন এই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কারুচুপির মাধ্যমে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি ভোটে বিজয়ী প্রার্থীকে হারিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোনীত হন। তিন বারের এই চেয়ারম্যান উপজেলা সদরে তিনটি বহুতল বিশিষ্ঠ বিলাশ বহুল বাড়ী, গাড়ী,জায়গা জমি ক্রয় করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্যের জায়গা দখল, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ সহ সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এনামুল হক বিভিন্ন সময় জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কমিটিতে ছিলেন বলেও জানা যায়।
এর প্রেক্ষিতে সোমবার রাজারহাট সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হকের অপসারণ ও দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে ছাত্র-জনতা। বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ শেষে বাজারের সোনালী ব্যাংক চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্মারক লিপি পেশ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ব্যাপারী, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ন আহবায়ক নয়ন মিয়া, উপজেলা বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আনিছুর রহমান লিটন,সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বাবু,মাহবুবুর রহমান,উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আল মিজান মাহিন, মশিউর রহমান,শাহরিয়ার আহমেদ,মোজাম্মেল হক সহ অনেকে।
এবিষয়ে রাজারহাট সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, আমি কখনো বিএনপি করিনি, তারা যদি ছেড়ে দিতে বলে আমি চেয়ারম্যানি ছেড়ে দিবো।