শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন

তিস্তার পানি বিপদ সীমার ছুই ছুই,পানি বন্ধি ৫ শতাধিক 

তিস্তার পানি বিপদ সীমার ছুই ছুই,পানি বন্ধি ৫ শতাধিক 

জেলা প্রতিনিধি, লালমনিরহাট।

উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি  বিপদ সীমার ছুই ছুই করছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিস্তা ও সানিয়াজান নদী পাড়ে বাসিন্দারা  বন্যার আশঙ্কা করছেন। পানি বাড়ার সাথে সাথে নিম্ন অঞ্চলের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।

 

বুধবার  (১৯ জুন ) সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।

এর আগে সকাল ৬টায়  তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়ি ও রাস্তা ঘাট পানি নিচে তলিয়ে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এতে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারে ঘরবাড়িতে পানি উঠে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ,কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।

অপর দিকে গত রাত থেকে সানিয়াজানে পানি বৃদ্ধিতে হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নে ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডে পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়ি ও রাস্তা ঘাট তলিয়ে গিয়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ২ শত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়ছে।

 

চর সিন্দুর্নার  মফিজার রহমান বলেন, গত রাত থেকে তিস্তা পানি বৃদ্ধি পেয়ে চর এলাকার বসতবাড়ি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। পরিবারগুলো ঘর থেকে বের হতে পাচ্ছে না।

 

হাতীবান্ধার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন বলেন, গতকাল থেকে ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দুইটি ওয়ার্ডের প্রায় ২শত থেকে ৩শত পরিবারের ঘর বাড়িতে পানি প্রবেশ করে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় ও নির্বাহী অফিসার কে অবগত করা হয়েছে।

 

এবিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন,গজলডোবায় পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024 Rangpurtimes24.Com
Developed BY Rafi IT