জেলা প্রতিনিধি,লালমিনরহাট।।
টানা চার দিন ধরে কুয়াশার চাদরে ঢাকা সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট। হিমেল হাওয়া আর ঠান্ডায় কাঁপছে এই অঞ্চলের মানুষ। ৪ দিনও সূর্যের দেখা নেই। ছিন্নমূল মানুষরা পড়েছে বিপাকে।
আজ শুক্রবার (১২ জানুয়ারী ) লালমনিরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা মেলেনি। বাহিরে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে কষ্টে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষরা। কাজে যেতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করছেন।
এ দিকে রাত ও দিনে বৃষ্টির মত পড়ছে কুয়াশা। কুয়াশায় ঢাকা পড়ে পুরো জনপদ। সব মিলে হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডায় লালমনিরহাটের জনজীবন প্রায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।
খুব প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের হচ্ছে না মানুষ। ঠান্ডায় কাজে যেতে না পেয়ে অনেকটা সংকটে পড়েছেন নিম্ন আয়ের দিনমজুর ও শ্রমিকরা।
হিমেল হাওয়ায় বেশ কাহিল হয়ে পড়েছে তিস্তা ধরলা নদী পাড়ের মানুষ। ঠান্ডা বাতাসে ঘরে থাকাও দায় হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের ছিন্নমুল মানুষদের।
আজ লালমনিরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানান,কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।
এদিকে ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডার কারণে ধান বীজতলা ও আলু ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে। এতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়ছে।
পাটগ্রাম উপজেলার বউরা ইউনিয়নের ছকর উদ্দিন (৬০) বলেন, শীত তো আমাদেরই বেশী।এই শীতে কোথাও বেড়াইতে পারি না। বসে বসে আগুন তাপা ছাড়া কোন উপায় নেই।
পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন,শীতে দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতার ছিন্নমূল মানুষ কষ্টে আছে। তিস্তা নদী বেষ্টিত হওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা বেশি। সরকারী এভাবে এখনও কোন শীত বস্তু আসেনি।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, ছিন্নমুল মানুষদের জন্য ইতোমধ্যে ৫ উপজেলাতে ২৪ হাজার পিস কম্বল বরাদ্দে দেওয়া হয়েছে। এদিকে
শিশুদের জন্য ৫০ হাজার পিস জ্যাকেট ও সুয়েটারের চাহিদা দেয়া হয়েছে। বরাদ্ধ আসলে তা দ্রুত বরাদ্দ দেয়া হবে।