লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় প্রতিবন্ধী এক শিশু(১১)কে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে হাতীবান্ধা বাস কাউন্টার ম্যানেজার শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় প্রায় ৫ লক্ষ টাকায় দিয়ে আপোষ মিমাংসা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত সফিকুলের বাড়িতে এই ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটেছে। আর সেখানেই ৫ লক্ষ টাকার বিনিময় বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করা হয়।
অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ভিআইপি পাড়া এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে। এছাড়া সে হাতীবান্ধা বাস স্টান্ডের কাউন্টার ম্যানেজার।
জানাগেছে, শফিকুল ইসলাম ও শিশুর বাড়ি পাশাপাশি। তারা একে অপরের প্রতিবেশী।শিশুটি প্রতিবন্ধী হওয়ায় সফিকুল ইসলাম প্রায় দিন ওই শিক্ষার্থীকে তার বাড়িতে এনে ধর্ষন করে। এমন অবস্থায় মঙ্গরবার সকালে আবার সফিকুল ইসলামকে ওই শিশুকে তার বাড়িতে এনে ধর্ষণ করতে থাকে।
এমন অবস্থায় বিষয়টি দেখতে পায় শফিকুলকে হাতে নাতে আটক করে স্থানীয়রা। পরে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামের বাড়িতে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করা হয়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সফিকুলকে ধর্ষণ করা অবস্থায় আটক করা হয়। পরে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময় বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করা হয়।
ঘটনা স্থলে আলামত হিসেবে প্যানথার পাওয়া যায়।
শিশুটির নিকটতম এক আত্বীয় বলেন, সফিকুলকে হাতে নাতে আটক করা হয়। পরে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই শিশুর পরিবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঘটনাটি আমাদের পরিবারের মধ্যেই। ভাই আপোষ মীমাংসা করেছি। আপোষ মীমাংসা প্রায় ৪ লক্ষ টাকা আমরা পেয়েছি। বাকি টাকা কি হয়েছে এ বিষয়ে আমাদের জানা নেই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার কথা তো বিশ্বাস করবেন না। তাই পরে কথা বলবো।
এ বিষয়ে টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন বলেন,বিষয়টি জানার পর আমি উভয়কে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহ আলম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেননি।