লালমনিরহাট প্রতিনিধি।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড় খাতায় জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ের মিমাংসা করতে গিয়ে আজিজুল ইসলাম গংয়ের অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছেন লালমনিরহাটের জেলা পরিষদ সদস্য মনোয়ার হোসেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাতে বৈঠকে মিমাংসার চেষ্টাকালে বড়খাতা দোয়ানীর মোড় এলাকায় জেলা পরিষদ সদস্য মনোয়ার হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে,জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ের হাজী আজিজুল ইসলাম ও তার আপন ভাই মফিজুল ইসলামের মধ্যে টাকা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদ সদস্য মনোয়ার হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আপস মীমাংসায় বসেন। এক পর্যায়ে মফিজুল ইসলামের কাছে পাওনা টাকা চান হাজী সাহেব। এক পর্যায়ে মফিজুল ও হাজী সাহেবের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর পর হাজী আজিজুল ইসলাম ও তার ছেলে নজরুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন মিলে হামলা চালিয়ে জেলা পরিষদ সদস্য মনোয়ার হোসেনসহ দোকানের কর্মচারী শামসুল ও সাদ্দাম হোসেনের উপর আক্রমন চালিয়ে দোকান ভাংচুর করেন।
পরে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জেলা পরিষদ সদস্য মনোয়ার হোসেনসহ আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে আজিজুল ইসলাম হাজির ছেলে বাবু বলেন,কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিষয়টি বেশি বাড়াবাড়ি হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। মূলত মফিজুল চাচা কলেজে ঢোকার জন্য ১ লক্ষ টাকা স্থানীয় কলেজের অধ্যক্ষ কে দেন। সেটা কার জিম্মা ছিলেন আমার বাবা। সেই টাকা দেরিতে দেওয়ায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদ সদস্য মনোয়ার হোসেন বলেন,দুই পক্ষের মধ্যে আপোষ মীমাংসা হয়ে গেছে। এক সময় এক লক্ষ টাকা তার আপন ভাই পাওনা থাকলে টাকা চাইতে গিয়ে বিরোধ শুরু হয়। পরে হাজী সাহেবের নির্দেশে তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করছি। ঘটনাস্থলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।