শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ অপরাহ্ন

সম্মানী ভাতার অর্থ জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেন তারাগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান

সম্মানী ভাতার অর্থ জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেন তারাগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান

  • দিপক রায়, নিজস্ব প্রতিবেদক :

নিজের সম্মানী ভাতার টাকা ভোগ না করে সাধারণ জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটন।

 

 

দুই মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কখনোই তিনি সরকারের কাছ থেকে পাওয়া নিজের মাসিক সম্মানী ভাতার অর্থ ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করেননি তিনি। বরং তা বিলিয়ে দিয়েছেন সাধারণ গরীব মানুষের মাঝে। বিলিয়ে দিয়েছেন কখনো কারো মেয়ের বিয়েতে, কারো বাবা-মায়ের শেষ কৃত্যের কাজে কিংবা কোন মন্দির ও মসজিদ সংস্কারের কাজে।
জানা যায়, টানা দুই মেয়াদে তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান লিটন। তিনি ইকরচালী ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামে মৃত আব্দুর ছাত্তার ও মৃত ছাবেয়া বেগম দম্পতির কনিষ্ঠ্য পুত্র।

 

 

 

প্রথমবার দলীয় প্রতীক না থাকায় স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হলেও দ্বিতীয়বারে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে। টানা দুই মেয়াদের শেষ পর্যায়ে রয়েছেন উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী চতুর্থ পর্যায়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালনের শেষ পর্যায় চলে আসলেও দুই মেয়াদের দায়িত্ব পালনকালে নিজের দায়িত্বের কখনোই অবহেলা করেননি তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটন। এমনকি প্রতি মাসে নিজের সম্মানী ভাতার ৪৫ হাজার টাকাসহ ইট ভাটা, আলুর ব্যবসা, হিমাগার, রাইস মিল, স-মিলসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে লাভের একটি বড় অংশের অর্থ উত্তোলন করে তা সাধারণ মানুষের সহযোগীতায় বিলিয়ে দেন তিনি। নিজের ইট ভাটা থেকে উৎপাদিত ইট অনুদান দিয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মন্দির-মসজিদসহ শ্মশান ও কবরস্থানের সংস্কারে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অনাথ সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসা কিংবা কোন দরিদ্র পরিবারের মেয়ের বিয়ের জন্য সহযোগীতা চাইতে গেলে কাউকেই ফেরাননা তিনি খালি হাতে।

 

সম্মানী ভাতার অর্থ সাধারণ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার পাশাপাশি নিজের কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের একটি বড় অংশ বিলিয়ে দেন তিনি সাধারণ মানুষের সহযোগীতায়। উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামে বাড়ি হলেও তিনি পাঁচ ইউনিয়নের উন্নয়ন করেছেন সমানভাবে। উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের খোরশেদ আলম বলেন, আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান লিটন ভাই একজন সাদা মনের মানুষ। তিনি একজন মানবিক উপজেলা চেয়ারম্যান। ওনার বাড়ি ইকরচালী ইউনিয়নে হলেও অন্যান্য ইউনিয়নগুলোকে তিনি কখনোই খারাপ চোখে দেখেননি। বরং এই উপজেলার প্রতিটি গ্রামের যত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানেই সংস্কারের কাজে আমাদের এই উপজেলা চেয়ারম্যানের কিছু হলেও অবদান রয়েছে।

 

 

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটন বলেন, আমি কেমন তা আমি নিজে বলতে পারবো না। আমি গত ১০ বছরে কেমন কাজ করেছি, সাধারণ মানুষের কাঙ্খিত সেবা জনগণের মাঝে কতটুকু দিতে পেরেছি তাও আমি নিজে বলতে পারবো না। শুধু এতটুকু বলতে পারি আমার সাধ্যমতো আমি চেষ্টা করেছি আাগামীতেও চেষ্টা করে যাবো।

 

আমার উপজেলার সাধারণ মানুষই ভালো বলতে পারবে আমি কেমন। সাধারণ মানুষের বিপদে আপদে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি চেয়ারম্যান হওয়ার আগে থেকেই। নিজের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ দিয়ে আগে থেকেই আমি বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, শ্মশান-কবরস্থান, মন্দিরে সংস্কারের কাজে সহযোগীতা করে এসেছি। হয়তো চেয়ারম্যান হওয়ার পর সেই সুযোগটা আরেকটু বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আগামীতে চেয়ারম্যান হই আর না হই, চেয়ারম্যান হওয়ার আগেও যেমন ভালো কাজে বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার কাজে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছি যতদিন বেচে থাকবো সেটা অব্যাহত থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024 Rangpurtimes24.Com
Developed BY Rafi IT