লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে পারিবারিক কলহের জেরে দলবদ্ধ হয়ে শশুরবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে মেয়ের জামাই এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে শাশুড়ী মোছাঃ রুজিনা বেগম।
রবিবার (২৮ মে) বিকেলে রুজিনা বেগম নামের এক নারীর দেয়া একটি অভিযোগ পেয়েছে বলে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার রাতে উপজেলার সাপ্টিবাড়ীর নায়েকগরটারীর বাসিন্দা হাফিজুল ইসলামের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আজ থেকে ৮/৯ বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে সাপ্টিবাড়ীর হাফিজুল ইসলামের মেয়ে মোছাঃ হাফিজা বেগম (২৫) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন একই এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে সেলিম মিয়া(২৭)। বিবাহ পরবর্তী সময়ে জামাই সেলিম ঘর জামাতা হিসাবেই থাকতেন শ্বশুরবাড়িতে।সেসময় জামাই সেলিমের আয়ের টাকা বিভিন্ন কাজে নষ্ট করে। মেয়ে হাফিজা হিসাব চাইলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় কলহের সৃষ্টি হতো। তারই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় জামাই সেলিম উত্তেজিত হয়ে শশুর বাড়ীর লোকজনকে উচিৎ শিক্ষা দেয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বাহির হয়ে চলে যায়। অভিযোগে শ্বাশুড়ী আরো উল্লেখ করেন, জামাই তাদের বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার দুইদিন পর তার পরিবারের লোকজন এনে দলবদ্ধ হয়ে গত শনিবার রাতে শশুরবাড়ীর বসতবাড়ীতে হামলা চালায়। এ সময় তাদের হাতে থাকা দেশিয় অস্ত্র দিয়ে ভাংচুর, বিভিন্ন গালিগালাজ ও লুটপাট করতে থাকে। এ সময় তাদের বাধা দিলে শশুর মোঃ হাফিজুল ইসলাম এর হামলা করে গুরুতর আহত করে। স্মামীকে বাঁচাতে শাশুড়ী রোজিনা বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় ছেলে রেজাউল, মেয়ে হাফিজাও গুরুতর আহত হয় । হামলার সময় রেজিনার শ্রীলতাহানী ঘটানো হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি। অভিযোগে আরো জানা যায়, জামাই পরিবারের হামলায় শশুরবাড়ীর প্রায় ৪৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়। বর্তমানে আহতরা আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোজাম্মেল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।