নিউজ ডেস্ক:
বদরগঞ্জের লোহানীপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও একই প্রতিষ্ঠানের এক সহকারি শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফাঁস হবার ২০ দিন পার হলেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার (১২ জুলাই) লোহানীপাড়া মন্ডলেরহাট বাজারে অভিভাবক ও সচেতন এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন শুরু হয়।পরে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক-শিক্ষিকার ছবিতে জুতা ঝুলিয়ে ঝাড়ু মিছিল করেন তারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেন মানববন্ধনকারীরা।
গোলাম রব্বানি নামের একজন স্থানীয় বলেন,একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান যদি এমন অনৈতিক কাজ করে তাহলে আমরা বাচ্চাদের কার ভরসায় মাদ্রাসায় পাঠাব?ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন সুপার চাইনা।অবিলম্বে তার বহিস্কার দাবি করছি।
মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থী শাহিন আলম বলেন, যে ছবিগুলো আমরা দেখেছি তাতে এটা স্পষ্ট যে মাদ্রাসার সুপার ও ওই শিক্ষিকার নৈতিক স্খলন ঘটেছে।কিন্ত অজানা কারনে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।মাদ্রাসার ইতিহাসে এমন নোংরা ঘটনা আর ঘটেনি।অভিযুক্ত দুই শিক্ষক যেন আর শিক্ষকতা করতে না পারে এটা প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি।
এর আগেও গত ৪ জুলাই এলাকাবাসী ও অভিভাবকবৃন্দ সুপার ও সহকারী শিক্ষিকার শাস্তির দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসে গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগসূত্রে জানা যায়,লোহানীপাড়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাও. মো. আজিজুর রহমান ও অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হোটেল মোটেলে গিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হতেন। এলাকাবাসী তাদেরকে বাধা নিষেধ করার পরেও তারা তোয়াক্কা করেনি। গত ১৮ জুন ওই সহকারী শিক্ষিকার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে সুপারের সাথে তার অন্তরঙ্গ আপত্তিকর বেশ কয়েকটি ছবি পোষ্ট করার পর তা ভাইরাল হলে পুরো এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।এসময় এলাকাবাসী মাদরাসা ঘেরাও করার উদ্যোগ নিলে সুপার ও সহকারী শিক্ষিকা কৌশলে সেখান থেকে সটকে পড়েন। পরে পরে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সাধারণ ছুটি নিয়ে গা ঢাকা দেন তারা।
এরই মধ্যে গত রবিবার (৯ জুলাই) মাদরাসা খোলার পর থেকে জনগণের রোষানলে পড়ার ভয়ে সুপার আজিজুর রহমান তার স্ত্রী, কন্যা, ভাইসহ লোকজন সাথে নিয়ে মাদরাসায় ঢুকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই চলে যান। এছাড়া স্থানীয়দের রোষানলে পড়ার ভয়ে আজিজুর রহমান মাদরাসায় এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই তড়িঘড়ি করে চলে যান।