মমিনুর মমিন, নিজস্ব প্রতিবেদক:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা পাইকারটারী উচ্চ বিদ্যালয়ে (পাউবি) প্রথমবারের মতো প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিদ্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ আরিফ। মোঃ মমিনুর ইসলাম ও লাবিবা সরকার রিমার সঞ্চালনায় এসময় বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের স্মৃতিচারণ করেন। স্মৃতিচারণে ২০০৮ ব্যাচের শিক্ষাথী মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। তবে অনেকে এখনো চাকরিপ্রত্যাশী। সেই চাকরি প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখন বেশিরভাগ শিক্ষার্থী শুধু সরকারি চাকরির পিছনে ছুটছেন। কেউ সফল হচ্ছেন, কেউবা হচ্ছেন না। এজন্য একেকজনকে উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার কিংবা ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পরামর্শ দেন তিনি।
২০১০ ব্যাচের শিক্ষাথী শাহ আলম হোসেন মিজু বলেন, উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের স্কিলের উন্নয়ন করতে হবে। দেখা যায়, বিদেশিরা তাদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশ থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছেন। অথচ স্কিল না থাকার কারণে বিদেশে আমাদের দেশের অনেক মানুয কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন। কিন্তু তারা যদি আরও বেশি স্কিল অর্জন করেন এবং নিজেকে যোগ্য হিসেবে তৈরী করতে পারেন তাহলে বাইরের দেশগুলোতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার সুযোগ লাভ করতে পারেন।
২০০৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি পড়াশোনা ও খেলাধুলাসহ বিভিন্ন দিক থেকে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় বেশ সুনাম কুড়িয়েছে এবং স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এজন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের এবং শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান। পাশাাপাশি পড়াশোনা এবং ফলাফলের দিকে আরো জোর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সমাপনী বক্তব্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ আরিফ বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, ব্যাংক কর্মকর্তা, শিক্ষক, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক ও, টেক্সাটাইলসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। এটি আমাদের গর্বের বিষয়। আমরা চাই তারা তাদের নিজ পেশায় সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। একইসঙ্গে তারা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় সেশনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এবং শিক্ষার্থীদের র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ড্রতে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন পাউবির প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ আরিফ। এসময় পুরস্কারের একটি অংশ হিসেবে বিদ্যালয়ে পরিবেশবান্ধব গাছ রোপণ করেন প্রাক্তন শিক্ষাথীবৃন্দ।