দিপক রায়, নিজস্ব প্রতিবেদক :
রংপুরের তারাগঞ্জে নিখোঁজের ৯ দিন বস্তাবন্দি অবস্থায় অটো চালকের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে রংপুর জেলা ও তারাগঞ্জ থানা পুলিশ।
শনিবার আনুমানিক সকাল ১০:২০ মিনিটে তারাগঞ্জ থানাধীন ১নং আলমপুর ইউনিয়নের তারাগঞ্জ-সৈয়দপুর মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী দোয়ালীপাড়া গ্রামের ইট ভাটা এলাকার একটি পুকুর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় অর্ধগলিত ওই মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশের একটি দল।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আলমপুর ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের অহেদুল ইসলামের বড় ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব (২২) প্রায় ৯ দিন থেকে তার চালিত অটোবাইক সহ নিখোঁজ রয়েছিল। তাকে সবশেষ ৩১ আগস্ট চিকলী বাজার থেকে তার অটোবাইক গাড়িটি চালিয়ে রংপুর – দিনাজপুর মহাসড়কের চিকলী বাজার থেকে তারাগঞ্জের উদ্দেশ্যে সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে রওনা দিতে দেখা যায়। এরপর থেকেই তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের লোকজন চারদিকে খোঁজাখুঁজির পর ০৮ সেপ্টেম্বর তারাগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করে।
দায়েরকৃত এজাহারের সূত্র ধরে রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) আবু আশরাফ সিদ্দিকীর দিকনির্দেশনা ও তার নেতৃত্বে তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান ও পুলিশ পরির্দশক। (তদন্ত) জহুরুল হক, এসআই তোহাকুল সহ সঙ্গীয় ফোর্সের অভিযানে গ্রেফতার করা হয় সন্দেহভাজন গামছা পার্টীর সর্দার একই ইউনিয়নের দোয়ালীপাড়া গ্রামের মৃত খবির উদ্দিনের পুত্র শরিফুল ইসলামকে (৩০) কে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শরিফুল ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যাকান্ডে জরিত মুশফিকুর ও সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
বি-সার্কেল আবু আশরাফ সিদ্দিকী প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, রংপুরের পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীর দিক নির্দেশনায় ৮ সেপ্টেম্বর তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান,পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জহুরুল হক, এসআই তোহাকুল ইসলাম তোহা সহ সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে আলমপুর ইউনিয়নের দোয়ালীপাড়ার মৃত খবির উদ্দিনের ছেলে গামছা পার্টীর সর্দার শরিফুলকে গ্রেফতার করি এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আলমপুর ইউনিয়নের ফাজিলপুর বানিয়াপাড়ার ওহেদুলের বড় ছেলে সিএনজি চালক হাবিবুরের মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যায় জরিত একই ইউনিয়নের আঃ রহিম বাদশাহের ছেলে মুশফিকুর ও একই গ্রামের সোহাগকে গ্রেপ্তার করি।
হত্যায় জরিত অজ্ঞাত বাকি আসামিদের গ্রেফতার ও ছিনতাই হওয়া অটোবাইক গাড়িটি উদ্ধারে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের রংপুর জেলা কোর্টে প্রেরণ করা হবে।