লালমনিরহাট প্রতিনিধি।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় যৌতুক না পেয়ে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে লাভলী বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূ হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। ওই গৃহবধূর দুই হাতের আঙ্গুলে রড দিলে আঘাত করে থেতড়ে দেয় পাষন্ড স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এ ঘটনায় গৃহবধূর মা রিনা বেগম কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের খান্ডোর চওড়া শিবরাম গ্রামে গত তিন বছর পুর্বে মমিন মিয়া মেয়ে লাভলী বেগমকে দেড় লাখ টাকা দিয়ে বিয়ে দেন একই এলাকার মোখলেছুর রহমান ছেলে মোফাজ্জাল হোসেন মিজুর সাথে। এর মধ্যে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় লাভলী বেগম। এর পর মোফাজ্জাল হোসেন মিজুর স্ত্রীকে আরও এক লাখ টাকা বাবার বাড়ি থেকে আনার জন্য চাপ দেয়। টাকা আনতে না চাইলে স্ত্রী লাভলী বেগম উপর শুরু হয় নির্যাতন। গত ১০ জুলাই সোমবার দুপুরে টাকা জন্য আবারও চাপ দেয় স্বামী এতে রাজি না হওয়ায় ওই দিন দুপুরে ঘরে আটকে লাঠি দিয়ে পেটানোর পর দুই হাতে আঙ্গুল রড দিয়ে আঘাত করে থেতড়ে দেয়। এর পর খবর পেয়ে তার মা রিনা বেগম তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়,লাভলী বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট বেঁধে আছে।
হাসপাতালে বিছনায় শুয়ে লাভলী বেগম বলেন, আমাকে এভাবে মারধর করে আর আমার শ্বশুর শ্বশুরী চেয়ে চেয়ে দেখে, আমি নিরুপায় হয়ে নির্যাতন সহায় করি। বাকী এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। টাকা আনতে না চাইলে শুরু হয় নির্যাতন। আমার দুই বছরের মেয়েকে নিয়ে আমি আর টিকতে পারছি না। তাই সবার কাছে বিচার চাই।
লাভলীর স্বামী মোফাজ্জাল হোসেন মিজু বলেন, সে অপরাধ করেছে তাই মারধর করছি মাত্র। যৌতুকের জন্য নয়।
গোড়ল ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। মেয়েটি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে মিমাংসা করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন,এঘটনায় অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।