প্রায় দুই মাস ধরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাড়াই চলছে লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ থানা। এতে থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
গত ১৪ ই মে কালিগঞ্জ থানার ওসি গোলাম রসুলকে স্ট্যান্ড রিলিজ করলে তিনি ওই রাতেই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমানের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে চলে যান। এরপর দীর্ঘ দুই মাস অতিবাহিত হলেও থানায় এখন পর্যন্ত কোনো নতুন ওসির পদায়ন করা হয়নি। কবে নতুন ওসি পাবে কালীগঞ্জ থানা তাও কেউ বলতে পারছেন না।
মাদক ও চোরাচালানের প্রবেশদ্বার খ্যাত কালীগঞ্জ একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা হিসেবে রংপুরে বিভাগে পরিচিত । এখানে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে থানার ওসির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রায় দুই মাস যাবত ওসি না থাকায় থানার স্বাভাবিক কাজকর্মের সিদ্ধান্ত নিতে বার বার পুলিশ সুপারের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ওই উপজেলায় দিন দিন মাদকের ব্যাপকতা বাড়ছেই। সীমান্তবর্তী এই উপজেলাটি ভারতের সীমান্তঘেষা হওয়ায় এখানে বিভিন্ন স্পটে রয়েছে মাদকের সহজলভ্যতা।
জানা গেছে মাদকের অন্যতম রুট হিসেবে পরিচিত এ থানায় ওসি না থাকার কারনে ম্যাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এছাড়াও ওই উপজেলার ওসি তদন্তের নেতৃত্বেই প্রায় ২০থেকে ২৫টি পয়েন্টে রাতের বেলা চলছে জমজমাট জুয়া।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, মাদকের ব্যপকতার বিষয়ে পুলিশকে জানালেও কোনও কাজ হয় না। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত ১৪ মে বদলি হয়ে চলে যান কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম রসুল।
সে সময় ভারপ্রাপ্ত এর দায়িত্ব নেন ওসি তদন্ত হাবিবুর রহমান । অফিসার ইনচার্জ বদলির পরে মাদকের ব্যপকতা কমার আশা করেছিল এলাকাবাসী। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি আরও অধিক সক্রিয় হয়েছে মাদক সিন্ডিকেট । উপজেলার স্বর্বত্র যেন মাদক আর মাদক। তবে স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, দ্রুত কালীগঞ্জ থানায় একজন সৎ ও সাহসী অফিসার ইনচার্জ পদায়ন হলে মাদকের কলঙ্ক ঘুচতে পারে অনেক খানি।
এদিকে মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত করা হয় কি না জানতে চাইলে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে মাদক উদ্ধার ও মামলা হচ্ছে নিয়মিত।