নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর :
বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পৃথিবীর কোথাও বাংলাদেশের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ নেই ।
কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য একটি গোষ্ঠী বারবার অপতৎপরতা চালিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে রংপুর পর্যটন মোটেলে ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে আন্ত:ধর্মীয় সম্প্রীতি বৃদ্ধি ও ধর্মীয় নেতাদের ক্ষমতা জোরদারের লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মশালায় এমন মন্তব্য করেন আলোচকরা।
প্যানেল আলোচকরা বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য যত সহিংসতা হয়েছে তার জন্য ধর্মীয় কোনো আলেম, মাওলানা বা কোনো পন্ডিত ও পুরোহিত দায়ী ছিল না। রাজনৈতিক স্বার্থ ও ভুয়া মিডিয়ার অপপ্রচারের কারণে এসব হয়েছে।
সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বলতে কিছু নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশী এবং সবার নাগরিক অধিকার একই।
আলোচকরা বলেন, এর আগে যত সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়েছে তার কোনো বিচার হয়নি। বিচার না করে কেবল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা হয়েছে।
যারা ধর্ম মানে এবং বিশ্বাস করে তারা কখনোই সহিংসতা করতে পারে না, সে যে ধর্মেরই হোক। যারা এসব করে তারা ধান্দাবাজ। এদের প্রতিহত করতে হবে।
এজন্য দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ধর্মীয় নেতাদের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নিয়েও কাজ করার আহ্বান জানান আলোচকরা।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘রূপসা’ আয়োজিত কর্মশালায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হিরন্ময় মন্ডল।
পরিচালক এসকে মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন রংপুর ইমাম পরিষদের সহসভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আজাদ আলী। প্যানেল আলোচক ছিলেন কারমাইকেল কলেজ মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মুলাটোল দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজগর আলী, রংপুর ব্রাক্ষ্মন পরিষদের সভাপতি বিশ্বনাথ মুখার্জি, বলদিপুকুর ক্যাথলিক চার্চের পুরোহিত ফাদার সিলাস কুজুর ও রংপুর আদিবাসী পরিষদের সভাপতি বিমল খালকো।
কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিষয়বস্তুর ওপর আলোচনা করেন রূপসার প্রোগ্রাম অফিসার সুমি খাতুন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন প্রোগ্রাম অফিসার অভিজিৎ ব্যাপারি ও সহযোগী প্রোগ্রাম অফিসার পূজা রানী বিশ্বাস।
এর আগে গত রোববার (২৫ আগস্ট) একই বিষয়ে কুড়িগ্রামে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে ধর্মীয় নেতারা তাদের মতামত তুলে ধরেন।