লালমনিরহাট প্রতিনিধি
এমপির ফোনে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে ফিরে গেলেন রেলওয়ে কর্ত্পক্ষ। মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ডেপুটি কমিশনার ল্যান্ড এ্যান্ড বিল্ডিংস ও রেলওয়ে ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার পুর্ণেন্দু দেব শহরের বিডিআর রোডে রেলে জমির উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এসে স্থানীয় এমপির ফোন পেয়ে ফিরে যান।
জানাগেছে, লালমনিরহাট পৌরসভার বসুন্ধরা এলাকার আমানত উল্লাহ সরকারের ছেলে শরীফ মোঃ আতাউল্লাহ সরকার শহরের বিডিআর রোডে অবৈধভাবে রেলের জমি দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছেন। রেল নোটিশ দিলে কৌশলে তিনি কোর্ট কাচারি করে কালক্ষেপণ করে আসছেন। এভাবে কেটে যায় প্রায় একযুগ। একপর্যায়ে হাইকোর্ট থেকে পক্ষে রায় পেয়ে অবশেষে গত ১৩জুন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ওই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নোটিশ দেয়। কিন্তু নোটিশ গ্রহণ করেও বহাল তবিয়তে অবৈধ স্থাপনায় ব্যবসা চালিয়ে যান শরীফ মোঃ আতাউল্লাহ সরকার। অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে আসেন লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ডেপুটি কমিশনার ল্যান্ড এ্যান্ড বিল্ডিংস ও রেলওয়ে ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার পুর্ণেন্দু দেব। এদিকে উচ্ছেদের খবর শোনে ঘটনাস্থলে ব্যবসায়ী শরীফ মোঃ আতাউল্লাহ সরকার তার লোকজন নিয়ে ঘটনা স্থলে অবস্থান নেন। পরে দুপুরের দিকে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে আসেন রেলওয়ে ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার পুর্ণেন্দু দেব।
এসময় ওই ব্যবসায়ীর লোকজন স্থানীয় এমপি এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের কাছে ফোন দিয়ে এস্টেট অফিসারের সাথে কথা বলিয়ে দেন। পরে এমপি বসে সব ঠিক করে দেবেন এমন নির্দেশনা পেয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা না করে ফিরে যান ওই এস্টেট অফিসার।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ডেপুটি কমিশনার ল্যান্ড এ্যান্ড বিল্ডিংস ও রেলওয়ে ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার পুর্ণেন্দু দেব বলেন, এমপি মহোদয় ৪/৫ দিনের সময় চেয়েছেন। তাঁর সম্মানে সময় দিলাম, দেখি কি হয়। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এব্যাপারে লালমনিরহাট সদর আসনের এমপি এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান সাফ জানিয়ে দেন, উচ্ছেদ বিষয়ে রেলওয়ে কোন কর্মকর্তাকে তিনি ফোন দেননি।