নীলফামারী প্রতিনিধি:
প্রথম ধাপে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ৮ মে।
এবারের ভোটে চেয়ারম্যান পদের জন্য লড়ছেন চারজন। তাদের মধ্যে প্রভাবশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে দু’জনকে। তাদের একজন স্থানীয় সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের চাচাতো ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার, অন্যজন ভাতিজা ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজ। দু’জনই এমপির প্রার্থী বলে ভোটারদের কাছে প্রচার করছেন।
ভোটযুদ্ধে উপনীত হওয়ার আগে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থিরা। দ্বারে দ্বারে কুড়িয়ে বেড়াচ্ছেন জনসমর্থন। এরই অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার এক নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দেন এমপির ভাতিজা ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘ভোটে জয়ী হতে হলে নরমালে যদি না হয়, সিজার করে করা হবে। মাথার ওপরে এমপির হাত আছে।’
যুবলীগ নেতা ফেরদৌসের বক্তব্যটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চাউর হয়ে যায়। ঝড় ওঠে সমালোচনার। এমন হুমকি সংবলিত বক্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্য করছেন। এ বিষয়ে ফেরদৌসের কাছে জানতে চাইলে তিনি হুমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, কেউ হয়তো এডিট করে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাগমাধ্যমে ছড়িয়েছে।
সেই নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন- এমন কয়েকজন জানান, বক্তব্যটি ফেরদৌসেরই। তারা নির্বাচনী সভায় সরাসরি কথাগুলো শুনেছেন। এতে তারা বিস্মিতও হয়েছেন। একই সঙ্গে শঙ্কায় আছেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে।
হেনস্তার শিকার হওয়ার ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক ভোটার বলেন, এ রকম বক্তব্যের মাধ্যমে ফেরদৌস সাধারণ ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন। এসব বক্তৃতা শুনে ভোটারদের মনে ভীতির সঞ্চার হচ্ছে।
অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রহমান বলেন, সরকার যেখানে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেখানে এমপির ভাতিজার এমন বক্তব্য এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছে। এতে ভোটাররা ওই যুবলীগ নেতার হাত থেকে বাঁচতে তাকেই (ফেরদৌস) ভোট দিতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে নীলফামারী-১ (ডোমার ও ডিমলা) আসনের এমপি আফতাব উদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুভ কুমার সরকার জানান, বক্তৃতার বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবগতও করা হয়েছে। তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে ওই ঘটনায় কেউ তাঁর কাছে অভিযোগ করেনি।