জেলা প্রতিনিধি,লালমনিরহাট।
ভারতের উত্তর সিকিম এ তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর রাত ১১টায় তিস্তার পানি কমে গিয়ে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণের ব্যারাজের ৪৪ টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে দিনভর তিস্তা পাড়ের মানুষ আতঙ্কে দিন কাটিয়েছেন।
বুধবার (৪ অক্টোবর) রাত ১১ টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১দশমিক ৯২সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
রাত ৮টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধার উপজেলার তিস্তা চর অঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে। চরের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। চলাচলের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
এর আগে হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে নিম্নাঞ্চলে হুহু করে পানি প্রবেশ করে। মানুষ বন্যার আশঙ্কা করেন।
পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলম বলেন,সারাদিন তিস্তার পানি বৃদ্ধি নিয়ে অনেক আতঙ্কে ছিলাম। রাতে কমে গিয়ে আমাদের বিপদ কেটে গেছে।
এদিকে দুপুর থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিস্তা পার এলাকায় মাইকিং করে চরাঞ্চলের মানুষদের সরিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদিন ইসলাম তিস্তার পানি রাত ১০ টায় বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার বিষয়টিতিস্তা পরে আতঙ্ক কমছে, তিস্তার পানি বিপদসীমার নিচেনিশ্চিত করে বলেন,তিস্তা পাড়ের মানুষের জন্য আতঙ্ক কমতে শুরু করছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজির হোসেন বলেন,রাতে তিস্তার পানি কমতে শুরু করায় পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা কমে গেছে। উপজেলা প্রশাসন বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত ছিলেন।