শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন

নিয়মিত স্কুলে আসেন না ”সহকারী শিক্ষক” প্রশ্ন করায় ক্ষুব্ধ তিনি

নিয়মিত স্কুলে আসেন না ”সহকারী শিক্ষক” প্রশ্ন করায় ক্ষুব্ধ তিনি

জামান মৃধা, ডিমলা (নীলফামারী)

নীলফামারী ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান নিয়মিত স্কুলে আসেন না। স্কুল সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সপ্তাহে ২/১ স্কুলে এসে গড়হাজিরা দিয়ে বিদ্যালয় পাঠদান করান তিনি। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা এ নিয়ে কথা বললে তিনি স্থানীয় প্রভাবশালীদের পরিচয় দিয়ে হুমকি দেন।

এই প্রতিবেদকের নিকট বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রূপালী বেগম। তিনি বলেন, সহকারী শিক্ষক কাউকে ভ্রুক্ষেপ করেন না। নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় শিক্ষার্থী কমছেই।

মঙ্গলবার (২৬শে সেপ্টেম্বর) বিকাল ২.৪৫ মিনিটে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, সহকারি শিক্ষক নেই। জানা গেলো, তিনি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই বিদ্যালয় থেকে চলে গেছেন।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শারীরিক অসুবিধা জন্য প্রধান শিক্ষককে বলে তিনি এইমাত্র চলে এসেছেন। আধা ঘন্টা ধরে আমরা বসে আছি, আর আপনি বলছেন আমি এইমাত্র চলে এসেছি। এই কথা শুনে ক্ষেপে যান তিনি। বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের কোনো কাজ নেই। অসভ্য, ইতর, বর্বর, দুই টাকার সাংবাদিক, সামান্য দুই টাকার জন্য তোমরা স্কুলে স্কুলে ঘুরঘুর কর। আমার অমুক (বিশ্রী ভাষা যা লেখা সম্ভব নয়) সাংবাদিক!!! আমাকে ফোন দিছো কেন? ইত্যাদি ইত্যাদি অশুভ আচরণ করতে থাকেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, একটু কিছু বলতে গেলে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান। শিক্ষকগণ নিয়মিত স্কুলে না আসায় লেখাপড়ার মান ভালো না। ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ কে এম সাজ্জাদুজ্জামান বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ এম শাহজাহান সিদ্দিকীর মুঠোফোন একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা ধরেননি।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024 Rangpurtimes24.Com
Developed BY Rafi IT