লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।
উজানের ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে একদিন পর আবারও তিস্তার পানি বা বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর বিপদ সীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণের ব্যারাজে ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রাতেই তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছেন। নদী পাড়ে মানুষ আবারো বন্যা আশঙ্কা করছেন।
সোমবার (২৮ আগস্ট ) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২দশমিক ০৬ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
একদিন পর আবারও তিস্তার পানি বিপদসীমার ছুঁইছুঁই করছে। এতে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা চর অঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ শুরু করছে। চরের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকায় প্লাবিত হচ্ছে। একদিন যেতে না যেতে তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে আবারো দুর্ভোগে পড়েছে নদীপাড়ের মানুষ।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ প্রকৌশলী রাশেদিন ইসলামবলেন, সোমবার দুপুরের পর থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তবে কি পরিমান পানি আসছে তা বলা যাচ্ছে না।
তিস্তার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় কিছুটা ভোগান্তিতে পরেছে সাধারণ তিস্তাপাড়ের মানুষ।
তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিংঙ্গীমারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ,বাকডোরা, কালমাটি রাজপুর,গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আবারো পানি প্রবেশ করছে।
গড্ডিমারি ইউনিয়নের নিজ গড্ডিমারী গ্রামের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, তিস্তার পানি নেমে যাওয়ার একদিন পর আবারও নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। নদী পাড়ের মানুষ আবারো বন্যার আশঙ্কা করছেন।
পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে দহগ্রাম ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডে মানুষের ঘরবাড়িতে পানি উঠে গেছে। শনিবারে পানি বৃদ্ধির ফলে আদর্শ গ্রাম যাওয়ার রাস্তাটি পানির তরে ভেঙ্গে গেছে।