লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিকদের দাবি আদায় ও পাওনা টাকা কে কেন্দ্র করে ৭ দিন লোড আনলোড বন্ধ থাকার পর বুড়িমারী স্থলবন্দরে
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
সাথে শ্রমিকদের বৈঠকের পর কাজে ফিরছে শ্রমিকরা।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কাজে ফিরছেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানি বন্ধের পর আজ বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে কাজে ফিরে লোড আনলোড করছে শ্রমিকরা।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে শ্রমিক ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়।
বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রমিক ও সর্দার পক্ষের সংঘর্ষ থেকেই অচলাবস্থা তৈরি হয়ে আমদানি-রফতানি সীমিত হয়ে পড়ে। গত সোমবার থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়েছে এ কার্যক্রম। মূলত লোড-আনলোড শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে আটকে পড়েছে শত শত ট্রাক। এতে একদিকে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, অন্যদিকে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতিতে পড়ছে সরকার।
এঘটনায় শ্রমিক অসন্তোষ ও স্থলবন্দরের কার্যক্রমে ব্যাঘাতের ঘটনায় শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ স্বাক্ষরিত একটি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, এতদিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করতো সর্দার সংগঠনকে। পরে শ্রমিক কল্যাণসহ সর্দারদের কমিশন হিসাবে টন প্রতি ৪(চার) টাকা কেটে শ্রমিকদের বাকী টাকা দেয়া হতো। জমা হওয়া এই টাকার হিসাব, নতুন কমিটি গঠন এবং ঠিকাদারের কাছ থেকে সরাসরি মুজরি পাওয়ার দাবিতে শ্রমিকপক্ষের সাথে সর্দারের বিরোধের জেরেই বন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
স্থলবন্দর শ্রমিক লীগ বুড়িমারী স্থলবন্দর শাখার সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন,শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা ও সুযোগ-সুবিধা নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ঘোষণা করায় আমরা কাজে ফিরেছি।
বুড়িমারী স্থল বন্দরের কাস্টমসের ডিপুটি কমিশনার আব্দুল আলিম বলেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে বৈঠকের পর আজ বুধবার সকাল থেকে শ্রমিকরা পন্য বাহির ট্রাকগুলোতে লোড আনলোড করছেন। পাশাপাশি স্থলবন্দরের নীতিমালা অনুযায়ী শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা প্রদান করা হয়।