লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নে সালিশে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে না দেওয়ায় মেম্বারের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ চেষ্টা অভিযোগ দিয়েছে এক নারী। এ নিয়ে ওই এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (১৬জুন) সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ধর্ষণের অভিযোগকারী ওই নারীর বাড়ির পাশের আপন ভাই ও বোন বলেন, গত শুক্রবার (৭ জুন) রাতে এরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি। রাতে যদি চিল্লাচিল্লি করত তাহলে আমরা জানতাম। মেম্বারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ওই নারী স্থানীয় কয়েকজন মাতবরের সহযোগিতায় মিথ্যা ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।
স্থানীয়রা আরো জানান, উপজেলার নওদাবাস এলাকায় প্রায় তিন মাস পূর্বে ৬ নং ওর্য়াডের ধওলাই গ্রামের ওই নারীর সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুল হালিমের ভুট্টার পাতা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। এ ঘটনায় নওদাবাস ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দেন ওই নারী। চেয়ারম্যান স্থানীয় ওর্য়াডের মেম্বার আশরাফুল ইসলামকে বিষয়টি মিমাংসা করার দায়িত্ব দেন। মেম্বার মিমাংসা জন্য দুই পক্ষে ডাকলে সেখানে ২০ হাজার টাকা দাবি করে ওই নারী ৷ পরে ওই টাকা না পেয়ে মেম্বার আশরাফুলের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ চেষ্টা অভিযোগ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ( ১৩জুন) সন্ধ্যায় ওই নারী হাতীবান্ধা থানায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ভুট্টার ক্ষেতের মালিক আব্দুল হালিম বলেন, গত রমজানে আমার জমির ভুট্টার পাতা ছেড়াকে কেন্দ্র করে ওই নারীর সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। পরে ওই নারী ইউপি চেয়ারম্যানকে অভিযোগ করেন।সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই নারী ইউপি সদস্য আশরাফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।
অভিযোগকারী ওই নারীর বাড়িতে গেলে তিনি বলেন,রাতে আমি প্রকৃতির ডাকে টিউবওয়েল পাড়ে যাই। এই সময় ইউপি সদস্য আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি আরো বলেন, আশেপাশে আমার কোন সাক্ষী নেই সবাই আমার শত্রু।
ভুক্তভোগী ওই ৬ নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, ওই কাকি আমার মায়ের বয়সী বয়স। আমি কিভাবে রাতে তার বাড়িতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটাতে পারি। প্রতিপক্ষরা ভোটে হেরে গিয়ে ওই নারীকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
এ বিষয়ে ওই অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতীবান্ধা থানার উপ- পরিদর্শক(এসআই) হালিম বলেন, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করতে গেলে অভিযোগকারী ওই নারীর দেখা পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা আবারও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।