রংপুর টাইমস :
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় টিআর প্রকল্পের টাকা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও পিআইও অফিসের কথিত অফিস সহায়ক এর হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবনের নিচে ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে উত্তেজিত হয়ে চিতকার চেচামেচি করে গালাগালিজ করতে শোনা যায়। যার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে প্রতিনিধির হাতে এসেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবনের নিচে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ইউপি চেয়ারম্যান হলেন, উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন। আর পিআইও অফিসের ওই কথিত সহায়ক নূর মোহাম্মাদ।
জানাগেছে, উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের হাটখোলা চিলাখাল নামক একটি ব্রীজের সামনে প্রত্যেক বছর বন্যায় কচুরিপানা জমাট বাধে এবং পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে ব্রীজসহ আশেপাশের জনবসতি হুমকির মুখে পড়ে। আর দ্রুত পানি নিস্কাশনের জন্য সেই কছুরিপানা সরানোর জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা টিআর প্রকল্পের অধিন প্রায় ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করেন। সেই প্রকল্পের টাকা নিয়ে চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন ও পিআইও অফিসের কথিত সহায়ক নূর মোহাম্মদের বাকবিন্ডা বাধে।এক পর্যায়ে তা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
হাতীবান্ধা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কথিত অফিস সহায়ক নুর মোহাম্মদ পাকা ঘর দেওয়ার নামে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ করছে তার বিরুদ্ধে। এই নূর মোহাম্মদ অল্প কয়েক দিনের মধ্যে কোটিপতি পৌনে যায়। এমন খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন বলেন, নূর মোহাম্মদের সাথে ব্যবসায়িক লেনদেন আছে। সেই টাকার জন্য কথাকাটকাটি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পিআইও অফিসের সহায়ক নূর মোহাম্মদ বলেন, সিন্দুর্না ইউনিয়নের হাটখোলা চিলাখাল নামক ব্রীজের সামনে কচুরিপানা সড়ানোর জন্য টিআর প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পায় আরিফ চেয়াম্যানের। আমি সিন্দুর্না ইউপি চেয়ারম্যান আরিফের নিকট টাকা পাই। আর সেলিম চেয়ারম্যান আরিফের নিকট টাকা পায়। সেই টাকা আমি দিবো কেন?।
এ বিষয়ে সিন্দুর্না ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন ও হাতীবান্ধা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম শাহ বলেন, নিউজ করার দরকার কি?