রংপুর টাইমস :
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ভাতিজাদের ঈদ সালামি বেশী দেওয়ায় স্ত্রীর দায়ের কোপে তাইজুল ইসলাম (৩০) ও তার স্ত্রী রাশেদা বেগম ও জখম প্রাপ্ত হয়ে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন। এঘটনায় স্ত্রী রাশেদা বেগম ও স্বামীর বিরুদ্ধে দা দিয়ে কোপানোর অভিযোগ করেন।
গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের চৌপুতি বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত তাইজুল ইসলাম নওদাবাস ইউনিয়নের চৌপুতি বটতলা এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে। ও তার স্ত্রী একই উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকার আব্দুল বারেকের মেয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাইজুল ইসলাম ঈদের দিন সকালে তার ভাতিজাদের ২০ টাকা করে ঈদ সালামি দিতে থাকেন। এ সময় তার স্ত্রী রাশেদা বেগম (২৫) ১০০শত টাকার পরিবর্তে ১০থেকে ২০ টাকা দিতে বলেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে তর্ক শুরু হয়।
এক পর্যায়ে স্বামী তাইজুল ইসলাম স্ত্রী
রাশেদা বেগমে উরপ ক্ষিপ্ত হয়ে দা দিয়ে তার কোপ আসে । এতে স্ত্রী বাধা দিলে উভয়পক্ষে ধস্তাধস্তি হয় ফলে এক পর্যায়ে স্বামী তাইজুলের ঘাড়ের নিচে ও স্ত্রী রাশিদা বেগমের হাতে কোপ লাগে এতে আহত হয়ে স্ত্রী হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্বামী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পরে স্থানীয় লোকজন স্ত্রী ও স্বামীকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে তাইজুল ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ ঘটনায় তাইজুল ইসলাম বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাইজুলের স্ত্রী রাশেদা বেগম বলেন, ঈদের দিন ভাতিজা ও ভাতিজিদের আমার স্বামী ১০০ টাকা করে দিতে থাকে আমি বলি এত টাকা দিয়ে কি হবে ১০ থেকে ২০ টাকা দাও। এতে আমার স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বলে আমাকে বাবা করে ডাকো আমিও তোমাকেই সালামি দিব। পরে আমার স্বামী আমাকে লাঠি দিয়ে পিটানোর এক পর্যায়ে দা নিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি হয় এতে ওই দা আমার স্বামীর ঘাড়ের নিচে লাগে ও আমার হাত কেটে যায়। বিয়ে হওয়ার পর থেকে আমার স্বামী বিভিন্নভাবে অন্যায় অত্যাচার করে। আমি প্রতিবাদ করলে চলে আমার উপর অন্যায় অত্যাচার। আমার দুইটি সন্তান রয়েছে।
হাতীবান্ধার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আনোয়ারুল হক বলেন,হাতে যখন প্রাপ্ত হয়ে রাশেদা বেগম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর আগে তার স্বামী তাইজুল ইসলাম কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
রাশেদা বেগমের বাবা আব্দুল বারেক বলেন, আমার মেয়ে তার স্বামীকে দা দিয়ে কোপাতে পারে না। বিয়ের পর থেকে আমার মেয়ের উপর অন্যায় অত্যাচার করে আসছে তাইজুল ইসলাম। এর আগে তাইজুল আরো দুইটা বিয়ে করেন। আমার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নির্মল চন্দ্র রায় বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।