লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।
চারিদিকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে উত্তরের লালমনিরহাট। বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা।
হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডায় লালমনিহাটের জনজীবন বিপর্যয়। কনকনে এই ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শিশু বৃদ্ধ ও নিম্নে মায়ের মানুষ। গত তিন দিন থেকে ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়ছে পুরো এলাকা। মহাসড়ক গুলোতে হেডলার জ্বালিয়ে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারী ) সকাল সাড়ে ১০ টাও সূর্যের দেখা মেলেনি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। হার কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছেননা নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকে খরকুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর ) সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের আবহাওয়ার তাপমাত্রা ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানান,কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।
এদিকে হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষ কাজে যেতে না পারে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন পার করছেন।
তিস্তা,ধরলা ও সানিয়াজান নদীর তীরবর্তী চর এলাকার মানুষ এই কনকনে ঠান্ডায় মানাবে তোর জীবন যাপন করছে। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়ায় ইউনিয়নের সালেহা বেওয়া বলেন,ঠান্ডার কোন কাপড় নেই তাই আগুন জ্বালিয়ে বসে আছি।
ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ভ্যানচালক আসাদুল ইসলাম বলেন,গত তিনদিন ধরে প্রচুর শীত। এই শীতে কেউ ঘর থেকে বের হয় না। তাই ভাড়াও খুঁজে পাচ্ছি না।
হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, তিস্তা নদীবেষ্টিত এই ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষ হত দরিদ্র। প্রতিবছর এই ইউনিয়নের অসংখ্য মানুষ ঠান্ডায় কষ্টে দিন পার করেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বলেন, ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের জন্য গরম কাপড় বিতরণের প্রস্তুতি চলছে। খুব দ্রুত তা বিতরন করা হবে।