লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় প্রেমের টানে হিন্দু ছেলের বাড়িতে ওঠেন মুসলিম মেয়ে।এঘটনায় প্রেমিক যুগলকে সুপারি গাছে দড়ি দিয়ে বেধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে তরুণীর ভাই ও গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে।
ইতোমধ্যে গাছে দড়ি দিয়ে বেধে রাখার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। তবে জড়িতদের বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি পুলিশ। উল্টো ধর্ষণের মামলায় ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩১আগস্ট) সকালে উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে সাবেক ইউপি সদস্য রাহেলার বাড়ির সামনে তাদেরকে সুপারি গাছে বেঁধে রাখা হয়।
নির্যাতনের শিকার তপন (২২)উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সুভাষ চন্দ্রের ছেলে। ও একই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে নুসরাত আক্তার (১৮)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে তপন ও নুসরাতের প্রেমের পর শুরু হয় শারীরিক সম্পর্ক । এমতাবস্থায় বুধবার রাতে তপনের বাড়িতে আসেন নুসরাত। এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি বুঝতে পেয়ে এলাকাবাসী তাদের আটক করে সিংগীমারী ইউপির সাবেক মহিলা সদস্য রাহেলা বেগমের বাড়ির সামনের সুপারি গাছের সাথে বেধে নির্যাতন করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। প্রেমের টানে মুসলিম মেয়ে রাতের আঁধারে হিন্দু ছেলের বাড়িতে উঠে। এমন ঘটনায় এলাকার জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় নুসরাতের বাবা তপনের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন।
সেই মামলায় তপনকে আটক দেখায় পুলিশ। ওই তরুণীর ধর্ষনের আলামত সংগ্রহের জন্য নুসরাতকে পরিক্ষা নিরিক্ষা করাতে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তপন বলেন,তাদের সাথে আমাদের পুর্বে মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছে পরিকল্পিতভাবে আমাকে ঘর থেকে বের করে এনে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে নজরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে বলেন, আমি ব্যস্ত আছি পরে কথা হবে বলে ফোনটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে সিংঙ্গীমারী ইউপির সাবেক মহিলা সদস্য রাহেলা বেগম বলেন, আমরা তাদের বেঁধে রাখিনি। নুসরাত আক্তারের ভাই তাদেরকে গাছের সাথে বেধে রাখে। সে সময় কেরামত চৌকিদার উপস্থিত ছিল। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সিংগীমারী ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু বলেন, বিষয়টি জানার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন,মেয়ের বাবার ধর্ষণে অভিযোগ দেওয়ায় অভিযুক্ত তপনকে আটক করা হয়েছে। ওই তরুণীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তরুণ তরুণীকে নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানা নেই।