জেলা প্রতিনিধি,লালমিনরহাট।।
ঘন কুয়াশায় চাদরে মোড়ানো উত্তরের লালমনিরহাট। সূর্যের দেখা মিলছে না বেশ কয়েক দিন। হিমালয়ের শীতল হিমবায়ুর সাথে টিপ টিপ শিশির ঝড়ছে।
তীব্র ঠান্ডায় জন জীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। গরম কাপড় না থাকায় ছিন্নমূল মানুষ পড়েছে বিপাকে। তিস্তা ও ধরলার চরে কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল বাতাসে কষ্টে আছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। এদিকে কুয়াশায় বোরো বিজতলাও আলু ক্ষেতের পাতায় পচন ধরেছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারী ) সকাল সাড়ে ১০ টাও সূর্যের দেখা মেলেনি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে কুয়াশা, হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডা।
শনিবার (১৩ জানুয়ারী ) লালমনিরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানান,কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।
গত ৫ থেকে তীব্র ঠান্ডায় লালমনিরহাটে জরুরী কাজ না থাকলে কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। গ্রামে গঞ্জে খড় খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে সাধারন মানুষ।
রাতে ঠান্ডার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে গ্রাম গঞ্জের মানুষ খুব দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ছে।
ছিন্নমুল মানুষও ভুগছে গরম কাপড়ের সংকটে।
ফকিরপাড়া ইউনিয়নের সান্টু শেখ(৫০) বলেন,কুয়াশা আর ঠান্ডা সবাই আক্রান্ত হয়ে পড়ছি। গরু ও ছাগলের অবস্থা খারাপ। খুব কষ্টে দিন পার করছি। এই ঠান্ডায় ঘর থেকে বেড়া বড় দায়।
ওই এলাকার আজিজার রহমান(৭০) বলেন,কত ৫ দিন ধরে কুয়াশায় কিছুই দেখা যায় না। এই ঠান্ডায় কৃষি কাজও করতে পারছি না।
ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন বলেন, এই শীতে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩৬৫ পিস কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। বরাদ্দকৃত কম্বল দ্রুত শীতার্ত অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, ছিন্নমুল শীতার্ত মানুষদের জন্য ইতোমধ্যে ৫টি উপজেলাতে ২৪ হাজার পিস কম্বল বরাদ্দে দেওয়া হয়েছে। তা বিতরণ শুরু হয়ে গেছে। আরো বরাদ্দ চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।