জেলা প্রতিনিধি,লালমনিরহাট।।
লালমনিরহাটের শীতের শুরুতেই হাট-বাজার গুলোতেই দিন দিন দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে শাকসবজির। শাকসবজি উৎপাদনের জায়গায় এমন দামে হতাশ হয়ে পড়ছেন নিম্নবিত্ত সাধারন মানুষ। প্রতি শাকসবজিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা।
জেলার ৫ উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে
নতুন ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা,লাউ, শিমের মতো কিছু শীতের সবজির দাম আকাশচুম্বী।
অন্যদিকে, সবজির উৎপাদন এলাকা হিসেবে পরিচিত লালমনিরহাটের এবার শীতকালীন সবজির তেমন দেখা মিলছে না বলে জানিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, পোটল,মুলা,শিমের মতো কিছু সবজি বাজারে উঠলেও মোকামগুলোতেও দাম আকাশছোঁয়া।
লালমনিরহাটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৭৫-৮০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকায়। কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই খুচরা বাজারে ৪৫ টাকা বিক্রি হলেও তা বেড়ে ৫৫ টাকা কেজি বিক্রিয় হচ্ছে। কাঁচামরিচ১৮০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি টমেটো ১১০-১২০ টাকা, গাজর ১১০-১২০ টাকা, প্রতিপিস চালকুমড়া ৩০-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, চিকন বেগুন ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা,করলা ৬৫-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫-৮০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১২-১৫ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৫০-৫০০ টাকা, প্রতিপিস লাউের দাম (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা, ধনেপাতা ১৬০-১৭০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ২৫-৩০ টাকা, দুধকুষি ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, বাক্স কচু প্রতি পিস ৮০-৯০ টাকা,কচুরলতি আগের মতোই ৭০-৮০ টাকা, কচুরবই ৬৫-৭০ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০-৭০ টাকা, ফুলকপি ৮০-১০০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটির দাম বেড়ে হয়েছে ২৫-৩০ টাকা।
হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী বাবলু মিয়া বলেন,পঞ্চগড় দেবীগঞ্জ থেকে ক্যারেজ আলু ও লাল আলু নিয়ে আসি। সেই মোকামে দিন দিন দাম বৃদ্ধির কারণে বাজারে এখন খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এর এক সপ্তাহ আগে আলু বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। মোকামে যদি দাম না কমায় তাহলে আমরা কিভাবে কমাতে পারবো।
হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের সবজি চাষি আব্দুল বাকী বলেন,গত ১৫ দিন আগে টানা বৃষ্টির কারণে ফুলকপি,বাধাকপি মূলা ও বেগুন ক্ষেত, লাল শাক,পালং শাকে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে সবজি খেত নষ্ট হয়ে যায়ও ফলে বাজারগুলোতে শাকসবজির দাম দিন দিন বাড়ছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার দিঘিরহাট বাজারের খুচরা বিক্রেতা শাহিন মিয়া বলেন,গত সপ্তাহে আলু বিক্রি করেছি ৪০থেকে ৫০ টাকা,আজ সেই আলু ৫৯ থেকে ৬০ টাকা। নতুন ফুলকপি বাজারে এসেছে তার প্রতি কেজি ১০০ টাকা। পাইকারি দাম বৃদ্ধির কারণে প্রতিক কেজিতে চড়া মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে।
কালিগঞ্জ উপজেলার সুকানদিঘী বাজারের আব্দুল লতিফ বলেন, সবজির দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত সপ্তাহে মূলা বিক্রি করেছি প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে আজ সে মুলা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০টাকা কেজি দরে।
পাটগ্রাম উপজেলার কৃষি উপ-সহকারি অফিসার সেবিন খন্দকার বলেন,কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকদের আবারও বীজ লাগানোর জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে খুব দ্রুত বাজারগুলোতে নতুন সবজি উঠবে।